স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ ডিসেম্বর : আবারো রাজ্যের জন্য নয়া দিশা সৃষ্টি হলো শনিবার। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের উপস্থিতিতে শনিবার নুনসাই ফ্রুটস এণ্ড ভেজিটেবল প্রোডাক্টস ইনড্রাষ্ট্রিজের মাধ্যমে কুমারঘাটের ইনডাষ্ট্রিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৪০ মেট্রিকটন আনারস পাঠানো হয় জার্মানিতে। এদিন প্যাকেট জাত করে আনারস রপ্তানি করা হয় জার্মানের হামবার্গে। প্রদ্বীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
পরে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, আগের সরকারের মানোন্নয়ন করেনি, শুধু তাদের দল এবং ব্যাক্তির মানোন্নয়ন করেছে। ফলে রাজ্যের মানুষ উন্নয়নের সাথে পরিচিত ছিল না। সদ্য সমাপ্ত পুর ও নগর নির্বাচনে বিরোধীরা মাত্র ৫ টি আসন পেয়েছে। মানুষকে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দিয়ে রাজ্যের শান্ত পরিবেশকে বিষিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিল। সফল হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন রাজ্যের কৃষকদের কাছে টাকা আসুক তা চাইতো না পূর্বতন সরকার। বর্তমান সরকার কৃষকদের কাছে যেন টাকা আসে সেই লক্ষ্যে কাজ করেছে। যার ফলে ২০১৮ সালের আগে কৃষকদের যেখানে মাসিক গড় আয় ছিলো ৬,৫৮০ টাকা, বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে ১১ হাজার ৯৩ টাকা হয়েছে।
স্ব-সহায়ক দলের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার বিষয়টিও এইদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে। আরো বলেন পূর্বতন সরকার স্ব-সহায়ক দলের মাধ্যমে মাত্র ৪০ হাজার মহিলাকে রোজগার দিতে সক্ষম হয়েছে। প্রায় দেড় বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চলে যাওয়ার পরও বর্তমান সরকার এখনো পর্যন্ত পোনে তিন লক্ষ মহিলাকে রোজগার দিতে সক্ষম হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে স্ব-সহায়ক দল ও কোপারেটিভ-এর ইকোনমি ১০ হাজার কোটি টাকা করা হবে। রাজ্যে কোন মহিলা রোজগার ছাড়া থাকবে না। প্রত্যেক মহিলা যেন বাড়িতে বসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা রোজগার করতে পারে তার ব্যবস্থা করবে বর্তমান সরকার। আর এই কাজ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মুখ্যমন্ত্রী সবুজ পতাকা নেড়ে কনসাইনমেন্ট-এর সূচনা করেন। এইদিনের অনুষ্ঠানে আনারস চাষি সহ সাধারন মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস, বিধায়ক সুধাংশু দাস, বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা সহ অন্যান্যরা।