স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ ফেব্রুয়ারি : ত্রিপুরার ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব নির্বাচন এবার সংগঠিত হয়েছে। যার জেরে একক ভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হবে বিজেপি। শুক্রবার সরকারী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তিনি জানান, ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকে যেভাবে পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত রয়েছে তা বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের ইতিহাসে প্রথম এত সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া হয়েছে।
তবে নির্বাচনে দুই একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া প্রত্যেক নাগরিক যেভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন -এর জন্য রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য নির্বাচন কমিশন, আরক্ষা দপ্তর ও অন্যান্য দপ্তর গুলিকে মুখ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান। বিরোধীরা বারবার সায়েন্টিফিক রেগিং এর অভিযোগ তুলতো। কিন্তু সাইন্টিফিক রেগিং ছাড়াও প্রকৃত অর্থে যে নির্বাচন হতে পারে তা এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এই ধারা যাতে আগামী দিনেও অব্যাহত থাকে তার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের শান্তি, সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে সকল অংশের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। কিছু রাজনৈতিক দল রাজ্যের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছিল। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
বিরোধীদের উস্কানিমূলক চক্রান্তের ফাঁদে কোন অবস্থাতেই দলীয় কার্যকর্তাদের পা দিলে চলবে না। বিজেপিও একই কাজ করলে হবে না। মানুষ এই সংস্কৃতি পছন্দ করেনা। বহু জায়গায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আইনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। আইন নিজের হাতে তুলে নেবে না বিজেপির কার্যকর্তারা। তিপ্রা মাথা একই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। তাদের সুপ্রিম এক কথা বললে নেতৃত্ব ও কর্মীরা ভিন্ন পথে চলে। নির্বাচনের পর থেকে তার প্রমাণ মিলছে। কমিশনের গোচরে সমস্ত বিষয় নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা। সমস্ত কিছু বিবেচনা করেই পুনঃনির্বাচনের বিষয়গুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে । একক ভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হবে বিজেপি। এই ক্ষেত্রে অন্য কোন বিকল্প কিছু বিজেপি চিন্তা করছে না বলে স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা। এবার রেগিং ছাড়া নির্বাচন হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দল এক্ষেত্রে অভিযোগ তুলতে পারে নি। কংগ্রেস ও সিপিএম সন্ত্রাসের দল। এই দুই মিলে চেষ্টা করছে সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরে আসার। এই সংস্কৃতি থেকে ত্রিপুরা বের হতে চায়। এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে বৃহস্পতিবার।