স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ ফেব্রুয়ারি : নির্বাচনী সন্ত্রাসে দিকে দিকে আক্রান্ত চাকুরি হারা শিক্ষকরা। শুক্রবার রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয় গেরাও করে তীব্র প্রতিবাদ জানায় জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ১০ হাজার ৩২৩ -এর চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। দীর্ঘক্ষণ চলে ঘেরাও প্রতিবাদ।
চাকুরিচ্যুত শিক্ষক বিজয়কৃষ্ণ সাহার অভিযোগ বৃহস্পতিবার ভোট সম্পূর্ণ হওয়ার পর রাজনৈতিক নেতৃত্বদের ইন্দ্রনে সন্ত্রাসবাদীরা ১০৩২৩ চাকুরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর আক্রমণ সংগঠিত করছে। আগরতলা শহরতলী কাশিপুর এলাকার সুমন দাসের বাড়িতে বুধবার রাতের বেলা দা, শাবল সহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ সংগঠিত করে তছনছ করে দেয় তার বাড়ি।
একইভাবে ভোটের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভোট সম্পূর্ণ হওয়ার পর রাতের বেলা দশটা নাগাদ ১০,৩২৩ -এর শিক্ষক সত্যজিৎ দে -র বাড়িতে অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসবাদী ১৪৪ ধারার মধ্যেও প্রার্থীর নির্দেশে হামলা চালায়। কোনক্রমে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে প্রান বাঁচায় চাকরি হারা শিক্ষকের পরিবার। এই ঘটনার পর পুলিশকে জানানো হলো এখন পর্যন্ত কোন দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়নি। তাই পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা জন্য এই ঘেরাও বলে জানান চাকরিচ্যুত শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ সাহা। তিনি বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।
এবং এর দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে বলে জানান তিনি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে বলে জানান তারা। চাকরিহারা শিক্ষক কমল দেব পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে জানান, আশ্বস্ত করা হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এবং দুর্বৃত্তরা এই সন্ত্রাসের ঘটনা সংঘটিত করার সময় যে গাড়িটি ব্যবহার করেছে সেই গাড়িটি আটক করা হবে। পুলিশের আশ্বাস পেয়ে ঘেরাও প্রত্যাহার করে ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা।