স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ ডিসেম্বর : শিক্ষাব্যবস্থা বাঁচানোর জন্য গান্ধী মূর্তি পাদদেশে ধর্নায় বসলেন প্রাক্তন বিধায়ক আশিস দাস। এদিন সার্কিট হাউস স্হিত গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসে আশিস দাস হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্নায় শামিল হন। প্লে কার্ডে লেখা ছিল শিক্ষাব্যবস্থা বাঁচানোর জন্য সকলে যাতে আসে এবং নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যত যাতে সুরক্ষিত করে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের নীতি পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তী সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আশিস দাস বলেন, সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণ করতে নীতি গ্রহণ করছে।
ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে আসছে। সরকার ১০০ টি স্কুল বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমে বেসরকারিকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে দাবি জানানো হয়েছে যাতে সরকারিকরণ করার আইন প্রত্যাহার করেন, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো এখন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর কাছ থেকে কোনরকম সাড়া পাওয়া যায়নি এবং আইনও প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। কিন্তু সরকারের এ ধরনের নীতির ফলে আগামী দিনে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে পারবে না। ৯০ শতাংশ ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার হবে না। কারণ এখন থেকে সেই ১০০ টি স্কুলে যে হাজার পনেরশো টাকা করে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করানোর সময় লাগবে, সেই টাকা আগামী পাঁচ বছর পর ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা গিয়ে দাঁড়াবে। তাই এই আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে সরকারকে। নয়তো আন্দোলন আগামী দিনে অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
আরো বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন বিগত তিন বছরে এন সি ই আর টি মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপ্লব হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হল যদি শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব হয়ে থাকে তাহলে কেন সরকার বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে? এবং গত বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বড় তুঘলুকি নজরে উঠে এসেছে। সেটা হলো মাধ্যমিক পরীক্ষার ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে মিলল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। ফলে সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থা তুঘলকি সমান বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন শিক্ষাকে বাঁচাতে জাতপাতের উদ্ধে উঠে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এবং যারা বাইক বাহিনী রয়েছে তাদের ঘরে সন্তান রয়েছে, তাই তারা যাতে এগিয়ে আসে তার জন্য দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি বলেন সরকার যদি এই আইন প্রত্যাহার না করে তাহলে আন্দোলন আগামী দিনে বৃহত্তর রূপ ধারণ করবে।