Tuesday, January 21, 2025
বাড়িরাজ্যসরব প্রচারের শেষ দিন বিরোধী শূন্যের কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী

সরব প্রচারের শেষ দিন বিরোধী শূন্যের কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ ফেব্রুয়ারি : বিরোধী শূন্য বনাম পরিবর্তনের লড়াই যেন রাজ্যের ৬০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি। এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী হয়ে যেমন পরিবর্তনের জন্য জয়ের প্রত্যাশি। একইভাবে এলাকা থেকে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহাও বিরোধী শূন্য করার অংক কষে জয়ের প্রত্যাশি। তবে দুই প্রার্থীর কথা শেষ কথা নয়।

শেষ কথা বলবে এলাকার জনগণ। ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রটি যুগ যুগ ধরে অবাম ভোটারের আকড়া বলা যায়। এই কেন্দ্র থেকে দীর্ঘ সময় বাম প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা। ২০১৮ সালে বিজেপির থেকে টিকিট পেয়ে তিনি এলাকায় গেরুয়া শিবিরের ঢেউ তুলে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু চার বছর যেতে না যেতেই জনগণের দরদে তিনি দল ছেড়ে আবারো ফিরলেন ঘরে অর্থাৎ কংগ্রেসে। এলাকায় উপনির্বাচনে জয়ী হলে ডাক্তার মানিক সাহা। তখন কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা পরাজিত হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ডাক্তার বাবু এলাকায় ব্যাপক সাড়া পেয়ে নির্বাচনের আগে থেকেই ময়দানে চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।

আর ডাক্তার বাবু প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন কংগ্রেসের নেতা আশীষ কুমার সাহা। সমর্থনে রয়েছে দীর্ঘদিনের কুস্তির দল বামফ্রন্ট। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর তিনিও বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ডাক্তারবাবুর বাড়তি মাইলেজ মিলছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে মুখ্যমন্ত্রীর কথাবার্তা। যাই হোক মানুষ মুখে হাসি দেওয়া মানেই সেই রাজনৈতিক দলের সমর্থনে রয়েছে সেটা ভাবলে ভুল হবে। মানুষ যথেষ্ট সচেতন। আর এই সচেতনতার নিরিখে ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে রাজ্যে পাঁচ বছরের জন্য সরকার প্রতিষ্ঠিত করবে। আর এটাই যখন স্বাভাবিক তখন সব মনোনীত প্রার্থীরা মুখে হাসি দিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছেন বললেও ভেতরে কিন্তু একটা চিন্তার ছাপ রয়েছে তাদের। যাইহোক এদিন বিজেপি মনোনীত প্রার্থী ডাক্তার মানিক সাহাকে দেখা গেছে ভোট প্রচারে। সরব পচার শেষের দিন তিনি জয়নগর সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালান। মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন বিরোধীশূন্য করার অবস্থা দেখছেন জনগণের মধ্যে। রাজ্যের মানুষ খুন সন্ত্রাসের রাজনীতি অনেক দেখেছে। সেই কোন সন্ত্রাসের রাজনৈতিক ত্রিপুরা থেকে বিদায় দিতে ২০১৮ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার ত্রিপুরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আগামী ২ মার্চ ত্রিপুরা ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন ডাক্তার বাবু। যাইহোক সরব প্রচারের শেষ লগ্নে প্রত্যাশী সব প্রার্থী। অপেক্ষা জনগণের বিচার বিবেচনা করে রায় দেওয়ার। আর সে নিরিখে ফলপ্রকাশ ২ মার্চ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য