স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ ফেব্রুয়ারি : নির্বাচনের সরব প্রচারের শেষ সময়ে উত্তাল কল্যাণপুর রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রাজনৈতিক সংঘর্ষে গুরুতরভাবে আহত দুই দলের তিনজন। আশঙ্কা জনক অবস্থায় দুইজনকে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টা নাগাদ। বিজেপির দুই সমর্থক আক্রান্তের অভিযোগ এনে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সিপিআইএম দলের পক্ষ থেকে এগারো জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কল্যাণপুর থানাধীন দক্ষিণ দুর্গাপুর তরুণী দাসপাড়ায় সিপিআইএম এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষের জেরে রাতেই হাসপাতালে পাঠানো হয় বিজেপি কর্মী নীলকান্ত দাস এবং স্বপন দাসকে। স্বপন দাসের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে সাথে সাথেই আগরতলার জিবি হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়। অন্যদিকে সিপিআইএম দলের সমর্থক দীপক দাসকে গুরুতর অবস্থায় খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকেও জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সিপিআইএম অঞ্চল সম্পাদক সমীর চক্রবর্তীর অভিযোগ বিজেপি দলের দুষ্কৃতিকারীরা রাতের আঁধারে গোটা বিধানসভা এলাকায় অস্থির পরিবেশ কায়েম করতে গিয়ে দক্ষিণ দুর্গাপুর রতিয়া তরুণী দাস পাড়ায় সিপিআইএম সমর্থক নির্মল দাসের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট চালায়। তাদের আক্রমণে বাড়ির মহিলারাও আহত হয়েছে।
তাদের চিৎকারে সংলগ্ন বাড়ি থেকে তার ভাই দীপক দাস ওরফে পরিমল এগিয়ে আসলে তাকেও গুরুতরভাবে আহত করে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কল্যাণপুর থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পুলিশের কাজকর্মের বিরুদ্ধে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে এবং বিধানসভা নির্বাচনে সার্বিক পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা চেয়ে সিপিআইএম দলের তরফে কল্যাণপুর থানায় ঘেরাও বিক্ষোভ কর্মসূচি সংগঠিত করা হয়। শেষে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরার কাছে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। সিপিআইএম নেতৃত্ব জানায় পুলিশের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলে ঘেরাও কর্মসূচি বাতিল করা হয়। এদিকে বিজেপি দলের যুব নেতা সোমেন গোপ অভিযোগ করে জানায় গতকাল রাতে দক্ষিণ দুর্গাপুর রতিয়ার তরুণী দাস পাড়ায় দলের দুই কার্যকর্তা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দীপক দাসের নেতৃত্বে পাঁচজনের সিপিআইএম ক্যাডার বাহিনী তাদের উপর আচমকা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলে পড়ে। তাতে স্বপন দাস ও নীলকান্ত দাস আহত হয়। স্বপন দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় কল্যাণপুর থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই সিপিআইএম কর্মী দুলাল রায় কে গ্রেফতার করে। বর্তমানে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে ,পরিস্থিতি থমথমে।