স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ ফেব্রুয়ারি : নরেন্দ্র মোদীর, যোগী আদিত্যনাথ এবং হিমন্ত বিশ্ব শর্মার রাজ্যের পুলিশ দিয়ে ত্রিপুরায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন করা যাবে না। এই দাবি তুলে হুলুস্থুল করে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস নালিশ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশনে। আগরতলা শহরে শনিবার বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাতে যায় বামফ্রন্টের কর্মী সমর্থক।
প্রতিনিধি দলের উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ন কর, সি পি আই এম পশ্চিম জেলা সম্পাদক রতন দাস, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, সি পি আই এম সদর জেলা কমিটি সম্পাদক শুভাশিস গাঙ্গুলী, ডুকলি মহাকুমা কমিটির সম্পাদক নারায়ণ দেব। সি পি আই এম নেতৃত্ব সমর চক্রবর্তী জানান, শাসক দল বিজেপি গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে। কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে নির্বাচন সংগঠিত করতে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে উত্তর প্রদেশ, গুজরাট এবং আসাম থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ত্রিপুরায় এনে নির্বাচন সংঘটিত করা চেষ্টা করছে। এর সম্পূর্ণ বিরোধিতা করছে বামফ্রন্ট। তাই অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সংঘটিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মাধ্যমে নির্বাচন সংগঠিত করতে হবে।
কারণ প্রতিদিন মানুষকে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। এছাড়াও মানুষকে বিভিন্নভাবে অর্থবিলি করে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি জানানো হচ্ছে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বারা নির্বাচন সংঘটিত করার পাশাপাশি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা সন্ত্রাসী পথ অনুসরণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধেও এদিন অকেজোর ভূমিকার অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান। তিনি আরো বলেন বিজেপি দল পাগল হয়ে গেছে। কারণ জনসমর্থন হারিয়ে তাদের ঘর শূন্য। তাই ত্রিপুরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেআইনি কার্যকলাপে মেতে উঠেছে বিজেপি। ডেপুটেশনের পর নারায়ন কর জানান, ত্রিপুরায় যারা ভোট প্রচারের জন্য চপার ভাড়া করে আসছেন, তারা সাথে করে অর্থ রাশি আনছে কিনা সে বিষয়টা নিশ্চিত করতে তল্লাশি ব্যবস্থা করতে। এবং কোন রাজ্য পুলিশ দ্বারা যাতে নির্বাচন সংঘটিত না করা হয় তার জন্য অবগত করা হয়েছে। কারণ এই অনিয়ম জারি রেখে যদি নির্বাচন হয় তাহলে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে না। দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন সদর মহকুমা অফিসের সামনে। নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করে আশ্বস্ত হয়ে পরবর্তী সময় বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে বামফ্রন্টের কর্মী সমর্থকরা।