স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ ডিসেম্বর : বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের গৌরবময় বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন করা হয় আগরতলা স্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন কার্যালয়ে। এদিন সকালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সহকারী হাই কমিশনার জুবায়েদ হুসেন। পরে নীরবতা পালন ও জাতীর পিতা বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন সহকারী হাই কমিশনার জুবায়েদ হুসেন, বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী, বিধায়ক রেবতী মোহন দাস সহ অন্যান্যরা।
সহকারী হাই কমিশনার জুবায়েদ হুসেন বলেন বাঙ্গালি জাতির সব চাইতে ঐতিহাসিক দিন এটা। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রামের পর গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। এই বছর সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ হিসাবে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী জানান, এই মাটিতেই প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। বাংলাদেশের মহান মুক্তি যুদ্ধের সঙ্গে ত্রিপুরার মানুষ যুক্ত ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের দিনে তিনি যুবকদের নিয়ে মশাল মিছিল সংগঠিত করেছিলেন। আখাউড়া সীমান্তে গিয়ে এই মশাল মিছিল শেষ হয়। এদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বৃহপ্সতিবার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে এবং আগরতলা সাইক্লোহলিক্স এর সহায়তায় সাই র্যালীর আয়োজন করা হয়। এদিন আগরতলা স্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন কার্যালয়ের সামনে থেকে এই সাইকেল র্যালীর সূচনা করেন ক্রিড়া পর্ষদের সচিব অমিত রক্ষিত।
ছিলেন সহকারী হাই কমিশনার জুবায়েদ হুসেন সহ অন্যান্যরা। সহকারী হাই কমিশনার জুবায়েদ হুসেন জানান স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রির সম্পর্ককে আরও উজ্জ্বল করে তুলে ধরতে এই সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। এদিনের সাইকেল র্যালীতে ৫০ জন সাইক্লিস্ট অংশ নেয়। ৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে জিরো পয়েন্টে যাবে সাই ক্যালী। সেখান থেকে ফের ফিরে আসবেন। অন্যদিকে ক্রীড়া পর্ষদের সচিব অমিত রক্ষিত জানান এদিনটি ঐতিহাসিক। ওপার বাংলার মানুষ যেভাবে আজকের দিনটা আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করে , ঠিক তেমনি ভাবে ত্রিপুরার মানুষদের একটা শেকড় ওপার বাংলায় রয়ে গেছে । তাই ত্রিপুরার মানুষও তাঁদের মত করে এই দিনটি উদযাপন করে।
বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির কর্মকর্তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাদের হাতে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। এইদিন আখাউড়া সীমান্ত গিয়ে ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির কর্মকর্তাদের হাতে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের সম্পাদক সুজিত রায় সহ অন্যান্যরা। এক সাক্ষাৎকারে সুজিত রায় জানান ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির কর্মকর্তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন ভারত বাংলাদেশের মৈত্রী সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। এবং ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে।