স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ ফেব্রুয়ারি : রাজ্যে আজীবন সি পি আই এম এবং কংগ্রেস একে অপরের শত্রু হয়ে লড়াই করেছে। এখন কিভাবে একসাথে হয়েছে, এ বিষয়ে নিয়ে বিজেপির নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলছেন। সি পি আই এম -এর পক্ষ থেকে এর জবাব হলো বিজেপির দুষ্কর্ম’ই কংগ্রেস এবং সিপিআইএমকে একসাথে আনতে সাহায্য করেছে। এর জন্য কৃতিত্ব বিজেপির। তাই বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কংগ্রেস এবং সিপিআইএম একসাথে লড়াই করছে। এর জন্য দায়ী বিজেপি নেতৃত্ব। শুধু ত্রিপুরার মনসদ থেকে নয়, দিল্লির থেকে পর্যন্ত পরাস্ত করতে লড়াই শুরু হয়েছে।
তার জন্য বিজেপির কম্পন শুরু হয়ে গেছে। বক্তা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। বুধবার দুপুরে জুলাই বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআইএম মনোনীত প্রার্থী দেবেন্দ্র ত্রিপুরার প্রচারে গিয়ে বিরোধী দলনেতা আরো বলেন দীর্ঘ ৫৮ মাসের মতো যদি বিজেপি আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোট লুট করার চেষ্টা করে, তাহলে মানুষ চোখে চোখ রেখে লড়াই করবে। তার জন্য মানুষ সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছে বলেও হুঁশিয়ার দেন তিনি। বিজেপির দুঃশাসন হঠাতে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। এই বিজেপিকে ক্ষমতায় রাখলে ত্রিপুরাকে বাঁচানো যাবে না। পাঁচ বছরে ত্রিপুরাতে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে মানুষের সর্বনাশ করেছে। এক অরাজক পরিস্থিতি থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে বিজেপিকে হঠানো ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।গত পাঁচ বছর দেখা যাচ্ছে ধর্মনগর থেকে সাব্রুম পর্যন্ত প্রতিদিন রাস্তার পাশে মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। পুলিশ কোনরকম তদন্ত ছাড়াই বলে দিচ্ছে আত্মহত্যা না হলে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয় গত পাঁচ বছরে যেভাবে মহিলাদের উপর ব্যভিচারী আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে, তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না, বীভৎস! পুলিশের কাছে গেলে কিছু পুলিশ বলছে এই বিষয়টি মিমাংসা করে নেওয়ার জন্য। অর্থাৎ কাদের হাতে পড়েছে ত্রিপুরা? যার ফলে বিজেপিরই একটা অংশের নেতৃত্ব এ ধরনের অরাজগতা মেনে নিচ্ছে না। বিজেপির একটা অংশের নেতা বলছে আগেই ভালো ছিল ত্রিপুরা। এখন আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দুঃশাসন থেকে ত্রিপুরাকে মুক্তির জন্য এক মঞ্চে আসার ফলে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, জাগরণ তৈরি হয়েছে। কারণ মানুষ জানে সন্ত্রাসবাদীরা ইতিহাস তৈরি করে না। এবং সন্ত্রাসবাদীরা ইতিহাসের নিয়ন্ত্রণ শক্তি না। এটা বুঝে মানুষের মধ্যে এক নতুন সাহস তৈরি হয়েছে। কিন্তু তারপরও ক্ষমতায় আসতে বিজেপি নানা ভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে জানান বিরোধী দলনেতা শ্রী সরকার। স্বশাসিত জেলা পরিষদকে শুকিয়ে ত্রুটি টিপে মারার চেষ্টা করেছে বিজেপি সরকার। এবং এডিসির উন্নয়নের জন্য যা করার কথা ছিল সরকারের সেই দায়িত্ব পালন করেনি। স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সুলভ ও অগণতান্ত্রিক না হলে এই ধরনের কার্যকলাপ করতে পারে না। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে স্বশাসিত জেলা পরিষদ অবহেলিত ছিল। বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর স্বশাসিত জেলা পরিষদের জন্য নৈতিক এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছে বলে জানান তিনি। সভায় এদিন মনোনীত প্রার্থী সহ বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর উপস্থিত ছিলেন।