স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ ফেব্রুয়ারি : নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনকে রীতিমত অভিযোগ জানানো হলেও সন্ত্রাস থামছে না। তাই এই বিষয়ে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রয়োজন। কারণ বিজেপি তার পরাজয় জেনে এই ঘটনাগুলি সংঘটিত করছে। তাই এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস।
তিনি বুধবার সন্ধ্যায় সিপিআইএম জেলা কমিটির অফিসে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কোন বিধি নিষেধ মানছে না। নির্বাচনী বিধি নিষেধ পুরোপুরিভাবে বিজেপির কাছে কলাপাতা হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে এখনো মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা সহ বিভিন্ন নেতৃত্বদের পোস্টার রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এবং যেসব স্থান থেকে প্রচার খুলে নেওয়া হচ্ছে সেসব জায়গায় পুনরায় পোস্টার লাগানো হচ্ছে। শুধু তাই নয় রঞ্জিত নগর এলাকায় এবং কালিকাপুর এলাকায় রাস্তার উপর বিজেপি দলীয় অফিস করে রেখেছে। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে অবিলম্বে নিয়ম নীতি না মেনে লাগানো ফ্ল্যাক্স খুলতে হবে। সমস্ত কাটআউট সরাতে হবে, বিশাল আকৃতির পতাকা খুলতে হবে।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার সারারাত নরসিংগড় এলাকায় সি পি আই এম কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এদিকে মোহনপুর এলাকার টিলাবাড়ি এলাকায় একটি বিয়ে বাড়ি ভাড়া করে দেড় শতাধিক যুবক রাতের বেলা খাওয়া-দাওয়া সম্পূর্ণ করে বাইক নিয়ে বের হয় বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস সংঘটিত করছে। শুধু তাই নয় থানার সামনেও সন্ত্রাসের ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে। এমনকি তারা ১০ নং বুথ, ১১ নম্বর বুথ, ১২ নম্বর বুথ, ৩৯ নম্বর বুথ ৪০ নম্বর বুথে প্রচার সজ্জা রাখতে দেয় না। এদিকে সূর্যমনি নগর বিধানসভা কেন্দ্রটি নিয়েও অভিযোগ তুলেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। রতন দাস অভিযোগ করেন এলাকায় বৈরী সন্ত্রাস চলছে। এ বিধানসভায় বিরোধী দল সি পি আই এম -এর পার্টি অফিস বার বার আক্রান্ত হয়েছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়ে আছে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। একইভাবে ১৩ প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্রে মহাশক্তি, বনকুমারী, আদর্শ কলোনি, নেতাজি কলোনি সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার সজ্জা নষ্ট করছে বিজেপি। প্রকাশ্যে প্রচার সজ্জা লাগানো যাচ্ছে না। বুধবার সকালে রাজনগর এলাকায় কর্মী সমর্থকরা বামেদের পতাকা লাগানোর সময় তাদের ঘিরে ফেলে বিজেপির দুর্বৃত্তরা। এবং পান্নাশের হুমকি পর্যন্ত দেয় বড় অভিযোগ করলেন রতন দাস। একইভাবে জিরানিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে চলছে রাজনৈতিক সন্ত্রাস।
বাড়িতে প্রবেশ করে হুমকি, মারধর সহ বিভিন্নভাবে আক্রমণ সংগঠিত করে চলেছে। এবং নির্বাচনী বিধি নিষেধ লংঘন করে খাস জমিতে দলীয় অফিস করে রেখেছে বিজেপি। শুধু তাই নয় গত ৩০ জানুয়ারি খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সুকান্ত পল্লী এলাকায় রাত দশটার নাগাদ মতি করের বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। আবার সিপিআইএম কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ২৯ শে জানুয়ারি রাধাপুর ভূমিহীন কলোনি এলাকায় হামলা করে কয়েকটি বাড়িতে আক্রমণ সংগঠিত করে। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খয়েরপুর যাত্রাবাড়ী সিপিআইএম অফিসটির সামনে গিয়ে বহুবার আক্রমণ সংঘটিত করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ব্রহ্ম নগর এলাকায় অমূল্য দেবনাথ কে নিয়ে ঘুম থেকে তুলে অপহরণ করে মারধর করে। এলাকার মন্ত্রীর এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডুকলি মহকুমা কমিটির সম্পাদক নারায়ন দেব সহ অন্যান্যরা।