স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ জানুয়ারি : দুয়ারে দুয়ারে মাথা ঠেকানোর পর ফের পদ্মফুলে ঠাই হলো একাধিকবার দল ত্যাগ করা বিতর্কিত নেতা সুবল ভৌমিকের। তার থেকেও বড় মজার বিষয় হলো ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনে বামফ্রন্টের টিকিট না পেয়ে ভাজপার চাদর জড়িয়ে নিলেন কৈলাশহর বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম বিধায়ক মবশ্বর আলী। নতুন দিল্লির জাতীয় বিজেপি কার্যালয়ে দুই নেতাকে সাবাসী দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে বরণ করে নিলেন বিজেপির উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোডিনেটর সব্বিত পাত্রা, মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যী।
দুজনই গুনগান গাইলেন দেশের তেজস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে সুবল ভৌমিক প্রধানমন্ত্রীকে বাক বর্ষায় আক্রমণ করেছিলেন সেসব চিত্র হয়তো তিনি এদিন নিমিষেই ভুলে যান। আর দলত্যাগের রাজনীতিতে মবসর আলী যেখানে প্রথম, সেখানে সুবল ভৌমিক দলত্যাগের অধ্যাপক। সাংবাদিক সম্মেলনে এই দুই নেতার বিজেপিতে যোগদানের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছিলেন একেবারে গম্ভীর মেজাজে। পোড় খাওয়া রাজনীতি ব্যক্তিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার সামনে রাজনীতির এই পঠন পাঠন একটা নতুন অধ্যায়ের মতো। তিনি হয়তো বুঝতে পারছিলেন না রাজনীতির এই অধ্যায়টা কি রকম হবে রাজ্যের ভবিষ্যতের স্বার্থে । এমনটাই ধারণা তথ্যভিজ্ঞ মহলের। দেশে ব্যাপক উন্নয়ন চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে বলে জানান দলত্যাগী বিধায়ক মবসর আলী।
এদিকে দলত্যাগী সুবল ভৌমিক জানান, অত্যন্ত আবেগ পূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এটা। উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী রেল বিমান সড়ক সহ সমস্ত দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি এদিন দাবি করেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর মনের সম্পর্ক রয়েছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাথে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ভারতীয় জনতা পার্টিতে আসার জন্য মবশ্বর আলী এবং সুবল ভৌমিককে স্বাগত জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করে তারা নির্বাচনকে সামনে রেখে যোগদান করেছেন। এতে সংগঠন মজবুত হবে। দ্বিতীয়বার সরকার ফিরবে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। মবশ্বর আলী দেখিয়ে দিয়েছেন রাজনীতিতে অসম্ভব বলতে কিছু নেই। সামাজিক মাধ্যমে তিনি কমিউনিস্ট দল নিয়ে মতাদর্শ বলেছিলেন। পোস্টে দাবি করেছিলেন কংগ্রেস বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করবেন না তিনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাল্টে গেল জনদরদি নেতার মুখের বুলি।