স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ ডিসেম্বর। ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত ৪০ তম আগরতলা বই মেলার প্রথম প্রস্তুতি কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার। রবীন্দ্রভবনে এই প্রথম প্রস্তুতি কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়িকা মিমি মজুমদার, মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তথা বরিষ্ঠ সাংবাদিক সুবল কুমার দে, টি আই ডি সি-র চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায়, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পি কে গোয়েল, অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, ত্রিপুরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অরুণোদয় সাহা সহ অন্যান্যরা।
এদিনের প্রস্তুতি কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকেরা অংশ নেন। গিল্ডের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে হাপানিয়া স্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে যাতে বই মেলা আগরতলা শহরের বুকে করা হয়। এই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত এখুনি নেওয়া সম্ভব হবে না। তবে এই মেলা প্রাঙ্গণ গড়ে তোলা হয়েছে বৃহৎ পরিসরে। একই সঙ্গে এর একটা সদর্থক দিক আছে। তবে পুরোটাই আলোচনাক্রমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি এদিন জানান রাজ্য ভিত্তিক বই মেলা করার আগে মহকুমা ভিত্তিক বই মেলা করার পরিকল্পনা নিয়েছে দপ্তর। রাজ্যের ২৩ টি মহকুমায় সম্ভব না হলেও বাছাই করা ১০ থেকে ১২ টি মহকুমা এই বই মেলা করা হবে। জেলা, মহকুমা প্রশাসন, পুর পরিষদ ও পঞ্চায়েত গুলিকে নিয়ে এই বই মেলার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি। এই নিয়ে দ্রুত বৈঠক ডাকা হবে। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুস্তক বিক্রেতাদের কিছু ছাড়া দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে দপ্তর। এই সরকার পুস্তক বিক্রেতাদের সঙ্গে রয়েছে। কোন বিভেদ যাতে তৈরি না হয় সেদিকে নজর রাখার আহ্বান জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। মহিলাদের জন্য দুটি বিশেষ পুরস্কার প্রদানের কথা জানান তিনি।
সংস্কৃতি ছাড়া কোন দেশ ও রাজ্য এগিয়ে যেতে পারে না। এই ক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্যের একটা নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। সেই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রেখে আগামী দিনে সমস্ত কিছুকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।