Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যআইনের শাসন দখল করেছে জঙ্গলে শাসন : মানিক

আইনের শাসন দখল করেছে জঙ্গলে শাসন : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ জানুয়ারি : সন্ত্রাস শেষ কথা বলে না। সন্ত্রাস কোন ইতিহাসও রাখতে পারে না। যারা সংগ্রামের জন্য সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে মানুষের কথা বলে তারাই ইতিহাস লেখাতে পারে। আজ এরই দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করা গেছে জিরানিয়া এলাকায়। কিন্তু যারা বাইক বাহিনী হয়ে পাঁচ বছরে কাজ করেছেন তারা পিঠে দুর্বৃত্তপনা নামটা লিখে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, এ সরকার তাদের পেছনে অত্যাচারী বাহিনী হিসেবে নাম লিখিয়েছে। শুধু তাই নয় মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়ায় ভোট লুটেরা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

এর থেকে বাইক বাহিনীকে মুক্ত হতে বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। মঙ্গলবার জিরানিয়ায় সভা থেকে বক্তা মানিক সরকার বাইক বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, গণতন্ত্রের পথে এবং শান্তি সম্প্রীতি পথে ফিরে আসার জন্য। কিন্তু এই স্বৈরাচারী পথ থেকে সরে আসতে আহ্বান জানান বিরোধী দল নেতা। রাজ্যের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে বিজেপি। এই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এটাই হবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের মূল আওয়াজ বলে জানান বিরোধী দলনেতা। ৫৮-৫৯ মাসে বিজেপি সরকারের আমলে রাষ্ট্র এবং সমাজ কিছুই ভালো চলছে না। তাই আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরায় ধর্মনিরপেক্ষতা ও নাগরিক অধিকার পুনস্থাপন করতে হবে।

 আরো বলেন ত্রিপুরায় সংবিধান কাজ করছে না। আইনের শাসন দখল করেছে জঙ্গলে শাসন। আর এ শাসনের অবসান ঘটাতে হবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। এই সরকার গরিব মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। ৩৪০ টাকা রেগা মজুরি এবং ২০০ দিনের কাজ দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। এখন দেখা যায় মানুষ ৩০ থেকে ৩২ দিনের বেশি কাজ পাচ্ছে না। শুধু তাই নয় মজুরি পর্যন্ত পুরোপুরি ভাবে পাচ্ছে না শ্রমিকরা। এই মজুরিতেও ভাগ বসাচ্ছে মন্ডল নেতারা। ব্যতিক্রম নয় ব্যবসার ক্ষেত্রে। মুখ থুবড়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। পুরোপুরিভাবে মন্দা অবস্থায় চলছে। স্কুলে শিক্ষক নেই, হাসপাতালে চিকিৎসক নেই স্বাস্থ্যকর্মী নেই। তাই এই পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন করতে হবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বলে জানান তিনি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন শুধু সরকার পরিবর্তন করার জন্য নয়।

 দীর্ঘ পাঁচ বছর যারা ত্রিপুরার মানুষকে উপর অপশাসন চালিয়েছে তাদের উৎখ্যাত করে আরেকটা জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। গত পাঁচ বছর সংবিধান খতম করেছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করে ফ্যাসিস্ট রাজত্ব কায়েম করতে চায়। এবং ত্রিপুরা রাজ্যকে ভারতীয় জনতা পার্টি শোষণের প্রেক্ষাগার এবং ল্যাবটরি হিসেবে ব্যবহার করেছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে এই বিজেপি সরকার প্রস্তুত করে গোটা দেশের মধ্যে বার্তা দিতে হবে বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী। এদিন আয়োজিত সভার আগে একটি মিছিল সংঘটিত হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, রাধা চরণ দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য