Thursday, April 25, 2024
বাড়িরাজ্য১৬ ফেব্রুয়ারি এক বিশেষ সুবর্ণ সুযোগ রাজ্যের ভাগ্য পরিবর্তনের : জিতেন্দ্র

১৬ ফেব্রুয়ারি এক বিশেষ সুবর্ণ সুযোগ রাজ্যের ভাগ্য পরিবর্তনের : জিতেন্দ্র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জানুয়ারি : পাঁচ বছরে ত্রিপুরা রাজ্য গণতন্ত্রের শ্মশান ভূমি, উন্নয়নের শ্মশান ভূমি এবং সামগ্রিকভাবে সংবিধানের শ্মশান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। আর এই শ্মশানে ভূমি থেকে বিজেপি, আর এস এস -কে উৎখাত করে সংবিধানের জয়যাত্রা শুরু করা সহ মানুষের উচ্চ আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এক সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে এসেছে। এদিন পবিত্র অধিকার প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের আগের উন্নত ত্রিপুরা, সমৃদ্ধ ত্রিপুরা, শান্তিপূর্ণ ত্রিপুরা ফিরিয়ে আনতে চায় বামফ্রন্ট সহ সবকটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।

 রবিবার খয়েরপুর বাজারে আয়োজিত সিপিআইএমের সভায় বক্তা দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। এদিন খয়েরপুর বিধানসভার উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি। মিছিলে পর এদিন সভায় সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী আরো বলেন, ২০১৮ সালে মিথ্যার উপর ভর করে বিজেপি এবং আইপিএফটি -র জোট সরকার ক্ষমতাশীল হওয়ার পর গোটা রাজ্যের মতো খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর অমাবস্যা নামিয়ে আনে। যার ফলে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল, সংবিধান কাজ করছিল না। মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটা জঙ্গলের রাজ কায়েম হয়েছিল সারা রাজ্যের মতো খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও। আর এই জঙ্গল রাজের কারণে উন্নয়ন ত্রিপুরা রাজ্যে স্তব্ধ হয়ে গেছে।

খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে যে শিল্প নগরী গড়ে উঠেছিল সেটা গত পাঁচ বছরে শ্মশানে পরিণত হয়েছে। এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের যে পথ খুলেছিল তা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। শাসক দলের লুটের জায়গা হিসেবে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমানে সব কটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বামফ্রন্টের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গল রাজ থেকে ত্রিপুরাকে মুক্তি দিতে চাইছে। শ্রী চৌধুরী আরো বলেন, গত পাঁচ বছর ত্রিপুরা রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বারা লাঞ্ছিত বঞ্চিত বেকার নারীদের জন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এক বিশেষ সুবর্ণ সুযোগ। এই সুযোগ বিরোধী দলগুলির নয়, এই সুযোগ রাজ্যের মানুষের। কারণ এই রাজ্যের মানুষের মূল্যবান পাঁচটি বছর কেড়ে নিয়েছে বিজেপি সরকার। তাই এই গণতন্ত্রের শত্রু যদি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে নারী বেকার যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে সব অংশের মানুষের জীবন পঙ্গু হয়ে যাবেন। এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে দায়ী হয়ে থাকবেন বলে জানান তিনি। মিছিলকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হওয়ার মতো অবস্থা হয়ে পড়ে। কারণ বিজেপি দলের কিছু কর্মী সমর্থক মিছিলের সামনে এসে স্লোগান দেয়। পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিনের পথ সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক পবিত্র কর সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য