Thursday, April 25, 2024
বাড়িরাজ্যত্রিপুরায় বিজেপি পরাস্ত হলে গোটা দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটা পরিবর্তন আসবে :...

ত্রিপুরায় বিজেপি পরাস্ত হলে গোটা দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটা পরিবর্তন আসবে : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জানুয়ারি :  জঙ্গলের মধ্যেও পশু পাখিরাও একটা নিয়ম মানে। কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যে এই বিজেপি সরকার পাঁচ বছরে কোন নিয়ম-নীতি মানে নি। তাদের এই মেয়াদকালে রাজ্যে সংবিধান অচল, মানুষ তার ভোটাধিকার পর্যন্ত প্রয়োগ করতে পারছে না। আর এভাবেই উপ নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন বিজেপির নেতারা। এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে আছে।

এর জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে এম এ, এম কম পড়তে হবে না। অন্য রাজনৈতিক দল ত্রিপুরায় কাজ করতে পারছে না। মানুষ তার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারে এগুলি ঠিক না, বেআইনি। রবিবার কমলা সাগর বিধানসভার মধুপুরে এক নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রেখে এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। নির্বাচনী সভার আগে একটি মিছিল সংঘটিত হয় এলাকায়। কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে মিছিলটি হয়। এদিন নির্বাচনী সভায় বিরোধী দলনেতা বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সরকারের আমলে বেকার , গরিব মানুষ সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকুরী হয়নি বেকার যুবক যুবতীদের। দুই শতাধিক দিনের রেগা কাজ পায় নি। মজুরি ৩৪০ টাকা হয়নি। লেখাপড়া জানা মানুষের সাথেও এই বিজেপি সরকার প্রতারিত করেছে। কিন্তু পূবর্তন সরকারের আমলে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ভানু লাল সাহা মানুষের উন্নয়নের জন্য যে কাজ করে এসেছিলেন তার জন্য শ্রদ্ধা করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে সপ্তম পে কমিশনের নাম করে কর্মচারীদের যেভাবে ঠকানো হয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, বিজেপি যখন ২০১৮ সালের আগে সপ্তম বেতন কমিশনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তখন কর্মচারীরা হিসেব করেছিল যাদের বেতন ৪০ হাজার টাকা তাদের বেতন হবে আশি হাজার টাকা। যাদের ৮০ হাজার টাকা তাদের বেতন হবে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা। কিছুই করেনি সরকার। সার্বিক পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা থেকে আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনের আগে রাজ্যের মানুষের মধ্যে আবারো আওয়াজ হচ্ছে বিজেপি হটাও ত্রিপুরা বাঁচাও। এর জন্য মানুষ চাইছে নিজের ভোট নিজে দিতে।

আর ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি সরকার পরাস্ত হলে গোটা দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটা পরিবর্তন আসবে। কারণ ত্রিপুরা হতে পারে একটা ছোট রাজ্য। কিন্তু এর সাথে গোটা দেশের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কারণ মানুষের মৌলিক অধিকারের জন্য যে আন্দোলন, সে আন্দোলনের দিকে গোটা দেশের মধ্যে ত্রিপুরা আগে থেকেই ছিল। তাই দেশবাসী অধিক আগ্রহ নিয়ে ত্রিপুরার আসন্ন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বিরোধী দলনেতা। আয়োজিত সভায় এই দিন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ভানু লাল সাহা, রমা দাস সহ স্থানীয় নেতৃত্ব।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য