স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ জানুয়ারি : আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে একলা চলো নীতি গ্রহণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। ৬০ টি আসনেই প্রার্থী দেবে তৃণমূল। শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর এই রণকৌশল চূড়ান্ত করা হয়। এই বৈঠকে ছিলেন ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজিব ব্যানার্জি, সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং ত্রিপুরার প্রদেশ সভাপতি পিযুষ কান্তি বিশ্বাস।
দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘণ্টা আলোচনা হয় ত্রিপুরার নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক রাজীব ব্যানার্জি, সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাসকে। রাজীব ব্যানার্জি বলেন বিজেপিকে হারানোর মতো একমাত্র শক্তি মমতা ব্যানার্জি। যা পশ্চিমবাংলায় করে দেখিয়েছেন তিনি। বিজেপিকে পরাস্ত করতে হলে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন জোটের প্রয়োজন নেই। তৃণমূল কংগ্রেস একলা চলো নীতিতে বিশ্বাসী। ৬০ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী পদের জন্য এখন পর্যন্ত একশো কুড়িটি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সেই আবেদন পত্র গুলো স্ক্রুটিনি করেছেন কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রদেশ সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। শুক্রবার বৈঠকে এই স্ক্রুটিনির রিপোর্ট তুলে ধরা হয় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সামনে। চলতি মাসেই ত্রিপুরাতে ত্রিপুরায় আসতে পারেন অভিষেক ব্যানার্জি।
ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যে আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস জানিয়েছেন ২৫ বছর সিপিআইএম ত্রিপুরায় রাজত্ব করেছে কংগ্রেসের কয়েকজন নেতাদের কাঁধে ভর করে। তারাই এখন সিপিআইএমের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। তৃণমূল কংগ্রেস একাই বিজেপির বিরুদ্ধে যে লড়াই করতে জানে সেটা পশ্চিমবাংলা দেখিয়ে দিয়েছে। যার কারণে ত্রিপুরাতেও একই নীতি অবলম্বন করা হবে।উপনির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচন দুটো আলাদা আলাদা বিষয়। দুটোর ক্ষেত্রেই নির্বাচনী রণকৌশল পৃথক ধরনের হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয় তৃণমূল কংগ্রেস ও। কিন্তু ত্রিপুরায় এই একলা চলো নীতি আলোচনার শিরোনামে নিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি তৃণমূল কংগ্রেস নাকি ভারতীয় জনতা পার্টির বি টিম হিসেবে কাজ করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই একলা চলো নীতির কারণে ভোট ভাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগের সম্ভাবনাই প্রবল। ভোট ভাগ হতে পারে বাম কংগ্রেস জোটেরও। আর এই ভোট ভাগাভাগির খেলায় কে এগিয়ে থাকবে কিংবা কে পিছিয়ে থাকবে সেটা সময় সাপেক্ষ।