স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ জানুয়ারি : পূর্ববর্তী মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে সশরীরে হাজির হলেন ১০,৩২৩ -এর ১২ জন চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকা। জানা যায়, ২০২১ সালে ২৭ শে জানুয়ারি রাজধানীর সিটি সেন্টারের সামনে পুলিশ তাদের বাহান্ন দিনের গণ অবস্থান মঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর তীব্র আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন তারা। তারপর চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা রাস্তায় নেমে তীব্র প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। রাস্তা অবরোধ এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছিলেন বলে মামলা দায়ের হয় পশ্চিম থানায়।
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার আদালতে হাজির হতে হয় ১২ জন চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকার। পরে আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী ভাস্কর দেববর্মা জানান, পুলিশের সম্পত্তি নষ্ট করেছে এবং রাস্তা অবরোধ করেছে বলে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে দাঁড় করিয়েছে চাকরি হারা ১২ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে। পুলিশকে মানায় না উর্দি পরে এবং অশোখ স্তম্ভ পড়ে এ ধরনের মিথ্যা মামলায় জড়ানো। এ ধরনের মিথ্যা মামলা না দেওয়ার জন্য সাবধান হয়ে যেতে বলেন আইনজীবী ভাস্কর দেববর্মা। তিনি আরো বলেন পুলিশে যদি সংযত না হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হবে। আর সেদিন পুলিশ জেলে থাকবে বলে জানিয়ে দেন তিনি।
এবং মন্ত্রী নির্দেশে মেরুদন্ডহীন ভাবে কাজ না করার জন্য পুলিশের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন আইন অনুযায়ী সংযত হয়ে কাজ করুন। না হলে পুলিশের আইনিভাবে সমস্যায় পড়তে হবে বলে তিনি। এদিকে চাকরিচ্যুত শিক্ষিকা ডালিয়া দাস জানান সেদিন বহু চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষককে পুলিশ জলকামান দিয়ে এবং লাঠিচার্জ করে আহত করেছিল। এবং তিনি এদিন মামলাটি মিথ্যে বলে দাবি করে জানান, সেদিন কলম আর ব্যাগ নিয়ে তারা আন্দোলনে ছিল। কোন সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয় নি। গত কয়েক বছরে এই সরকার স্বৈরাচারী শাসন চালিয়েছে ১০,৩২৩ এর উপর। প্রতিশ্রুতি যেমন রক্ষা করেনি অপরদিকে বর্বরতা মূলক অত্যাচার নামিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। আরো বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সরকারকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হতে দেবে না বলে দাবি করেন এই দিন আদালত চত্বরে চাকরিচ্যুত শিক্ষকা। এদিন মামলার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক কমল দেব, বিজয় কৃষ্ণ সাহা সহ অন্যান্যরা।