Monday, January 20, 2025
বাড়িরাজ্যসাংবাদিকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ বিধায়কের

সাংবাদিকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ বিধায়কের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ জানুয়ারি : মঞ্চে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অশ্লীল গালিগালাজ করে জানান দিলেন মানসিকভাবে ভেঙে পড়া বিধায়ক সুধাংশু দাস। তিনি ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। দীর্ঘ পাঁচ বছরে এলাকার বহু দুর্নীতি খবর প্রকাশ হয়েছে। দিল্লিতে পাহাড় সমান অভিযোগ জমতেই আসন্ন নির্বাচনে টিকিট পাবে কিনা তা নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। ফলে দিল্লি পাত্তা না দেওয়ায় এখন দিল্লি নেতাদের খুশি করতে সাংবাদিকদের নিশানা করে টিকিট পাওয়ার ব্যবস্থাটুকু করতে চাইছেন তিনি।

 কিন্তু দিল্লির হাই কমান্ডের পাত্তা না পাওয়া বিধায়ক এখন কম জলের মাছ ধরতে লাফালাফি করছেন। তাই এবার প্রাক্তন মুখিয়ার বংশধর বিধায়ক মশাই সংবাদ মাধ্যমকে নিশানা করছেন। কিন্তু প্রাক্তন মুখিয়াও এভাবে সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করে গদিচ্যুত হয়েছেন। আর এই বিধায়ক মশাই এখন প্রাক্তন মুখিয়ার মতই নিজেকে জাহির করে টিকিট পেয়ে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এমনটাই গুঞ্জন এলাকায়। বিধায়ক মশাই ফটিক ছড়ায় মহিলা মোর্চার আয়োজিত সভায় এদিন সংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আটপার, বাটপার সাংবাদিক, সন্ত্রাসী হার্মাদ আর দুই নম্বরই মাল নিয়ে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস জোট করছে বলে ফটিকরায়কে হারানোর কথা বলছে। তাই দায়িত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ করছি হিম্মত থাকলে ফটিক রায়ের পাঁচটি বুথ জয় করে দেখান, তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দেব। এমনটাই বলেন তিনি। এদিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে বিধায়কের ইতিহাস সম্পর্কে যতটুকু জানা গেছে, তিনি ২০১৮ সালে বিজেপি দলের কল্যাণে ক্ষমতার মসনদে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। গরীব ঘর থেকে প্রতিষ্ঠিত ছেলে বিধায়ক হওয়ায় গ্রামবাসী ব্যাপক খুশি ছিল।

 হয়তো তিনি জনগণের স্বার্থে উন্নয়নমূলক কাজ করবেন। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যেই সমস্ত আশা ভঙ্গ হয়ে যায়। শুরু হয় পরিবারের উন্নয়ন। এলাকার উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। ছোট ভাই বিধায়ক হওয়ার সুবাদে বড় ভাই দোকানের কর্মচারীর কাজ ছেড়ে দেন, মা গৃহ পরিচালিতার কাজ ছেড়ে দেন। বড় ভাই শুরু করে ঠিকাদারের কাজ। উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হলেও মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় দুর্নীতির কারণে। গত সাড়ে চার বছরে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে যায় বিধায়ক মশাইয়ের পরিবার। বিধায়ক মশাই নিজের রাজকীয় বিয়েতে দেড় কোটি টাকা খরচ করেন। বিয়েতে নামে হেলিকপ্টার। বিরোধীদল থেকে অভিযোগ করা হয় যে ছেলে বাইসাইকেল চালাতে পারত না সেই ছেলে বিধায়ক হয়ে কি করে ২২ লক্ষ টাকার গাড়ি কিনে দৌড়াচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ ফটিকরায় বিধানসভায় রাস্তাঘাট নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কমিশন যায় বিধায়কের পরিবারে। আর বিধায়ক মশায়ের এ ধরনের দুর্নীতি সংবাদমাধ্যমের দ্বারা দিল্লি পর্যন্ত খবর পৌঁছাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি। সুতরাং আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেলে যা হয় সেটাই হচ্ছে বিধায়কের অবস্থা। এখন তিনি রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমের উপর বুল ডোজার চালাতে আসছেন। হয়তো এক্ষেত্রে যে তিনি সফল হবেন না সেটা বুঝতে পারছেন না কম জলের মাছ বিধায়ক বাবু। আর এটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য