স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জানুয়ারি : কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের প্রেমটা ছিল আগে চুপিসারে। এবারে প্রকাশ্যে আসতে হয়েছে তাদের। আসলে দীর্ঘ ৭০ বছর পর কংগ্রেসের আসল চেহারাটা মানুষকে দেখিয়েছে বিজেপি। বিজেপির জন্য বড় সাফল্য। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী নাকি বলেছেন এটা একটা শক্ত ফ্রন্ট হবে।
সত্যিকার অর্থে এটা শক্ত ফ্রন্ট নয়, এটা মানুষের সঙ্গে সবচেয়ে বড় প্রতারনা হবে। কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের মিতালি সম্পর্কে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে এভাবে দুই রাজনৈতিক দলের উপর কামান দাগের রাজ্যের উপমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। একই সঙ্গে তিনি ত্রিপুরা কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক ডক্টর অজয় কুমারকেও তীব্র কটাক্ষ করেন। অজয় কুমার নাকি বলেছেন মন ভি মিল গেয়া দিল ভি মিল গেয়া। একি অদ্ভুত কথাবার্তা। এখন শুধুই বলছে সিপিআইএমের ঘর নাকি বিজেপি জ্বালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ডক্টর অজয় কুমার নিজের দলের কথা একবারও বললেন না। ২০০৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের বহু পার্টি অফিস অগ্নিদগ্ধ করল সিপিআইএম তা একবারের জন্যও মুখে আনলেন না তিনি। সিপিআইএম কর্মীদের হাতে কংগ্রেসের কর্মীরা খুন হয়েছেন তা একবারের জন্যও বললেন না তিনি। এটা কত বড় প্রতারণা। এখানেই বিজেপির সাফল্য। মানুষের সামনে কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের মুখোশ খুলে দিল বিজেপি।
তিপ্রা মথা সম্পর্কেও এদের মুখ খুললেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন। মথাকে পাওয়ার জন্য বিজেপি তপস্যা করছেনা। রাজনীতিতে সবকিছু সম্ভব। আলোচনা হতেই পারে। কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের রাজত্বে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন কংগ্রেস আমলে আইনজীবী এবং পুলিশকে পেটানো হয়েছিল। সাত দিন ধরে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। বিজেপির অন্যতম সদস্য শ্যাম হরি শর্মাকে খুন করা হয়েছিল। সিপিআইএম আমলে মহকুমা শাসক খুন হয়েছেন। খুন হয়েছে মন্ত্রী বিমল সিনহা। হত্যা করা হয়েছে বিধায়ক মধুসূদন সাহাকেও। খুন হয়েছে সাংবাদিক। খুন হয়েছে ছাত্র নেতা ও। কে দেবে এর হিসেব। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে কংগ্রেস কিংবা সিপিআইএমের কোন নেতাকে হত্যা করা হয়নি। তবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে যে রাজনৈতিক হিংসামূলক ঘটনা ঘটেনি তা অবশ্য রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মণ প্রত্যক্ষভাবে অস্বীকার করতে পারলেন না। তিনি বললেন রাজনীতি করতে গেলে এমন ছোটখাটো হিংসা মূলক ঘটনা সব জায়গাতেই ঘটে থাকে। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের সম্ভাব্য জোট নিয়ে পারদ উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে। আর এইসবের মাঝে ওজন বেড়ে চলেছে তিপ্রা মথার। তিপ্রা মথার সঙ্গে যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি তাও পরোক্ষভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মার কথায়।