স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ ডিসেম্বর : পাখির চোখ ২০২৩ -কে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস রবিবার বৈঠক করে লাগাতার আন্দোলন সহ বিভিন্ন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিদ্ধান্ত হয় আগামী ৫ জানুয়ারি ত্রিপুরা রাজ্যের নৈরাজ্য, অগণতান্ত্রিক পরিবেশ, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা সরকার, স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল অবস্থা সহ ১৫ দফা দাবির ভিত্তিতে রাজভবন অভিযান করার আগে ২০ ডিসেম্বর রাজ্যের সবকটি মহাকুমা শাসক অফিসে ডেপুটেশন প্রদান করা হবে। রবিবার দুপুরে বনমালী পুর স্থিত প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস ক্যাম্পে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব রাজীব ব্যানার্জি।
তিনি বলেন আগামী দিনে বিজেপিকে উৎখাত না করা পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই জারি রাখবে। তৃণমূল কংগ্রেস একটি সঠিক দিশা এগুচ্ছে। ত্রিপুরার রোড মডেল হিসেবে শিয়ালদা রোড মডেল গ্রহণ করছে বিজেপি। বিজেপি এক বছর আগে যে রোড মডেলের ছবি দেখাচ্ছে। এক বছর পর ত্রিপুরার সেই ছবি তৃণমূল কংগ্রেস দেখাবে। মা মাটি মানুষের সরকারের উদ্যোগে ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত হবে ত্রিপুরাতে। ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার ত্রিপুরায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। একটা ফ্লক গভমেন্ট বলে তিনি অভিযোগ তোলেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে আঙুল তুলে বলেন রাজ্যের সাধারণ মানুষের পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তা নেই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সন্ত্রাসের ঘটনা এখন পর্যন্ত উঠে আসেনি। সেখানে বিরোধীরা আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের দূরবীন দিয়ে পর্যন্ত দেখতে পারবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটি আহবায়ক সুবল ভৌমিক বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পরিযায়ী দল বলছে বিজেপি, আসলে পরিযায়ী হলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি প্যারাসুট দিয়ে দিল্লি থেকে রাজ্যে এসেছেন। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবে তা হয়তো বিজেপি ভাবতেও পারেনি। এবং আগামী দিনে যখন ত্রিপুরায় মা মাটি মানুষের সরকার তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হবে তখন বিজেপি পরিযায়ী হয়ে যাবে বলে জানান সুবল ভৌমিক। এদিন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা পীযূষ কান্তি রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। উনার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা।