Friday, January 24, 2025
বাড়িরাজ্যসময় এসেছে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টদের বিশ্রামে পাঠানোর : জে পি নাড্ডা

সময় এসেছে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টদের বিশ্রামে পাঠানোর : জে পি নাড্ডা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ জানুয়ারি :  বৃহস্পতিবার ভোট প্রচারে রাজ্যে আসেন বিজেপির রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। রাজ্যে এসে তিনি একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির উপর মানুষের জনসমর্থন কতটা রয়েছে সেটা মেপে গেলেন। কয়েক মাস আগে এসেও ত্রিপুরা তিনি হতাশ হয়ে দিল্লি ফিরেছিলেন বলে বিভিন্ন মহলে খবর ছড়িয়েছিল।

যাইহোক এদিন আবার নির্বাচনকে সামনে রেখে একদিনে সফরে আসেন তিনি। গত ৫ জানুয়ারী সাব্রুম ও ধর্মনগর থেকে জন বিশ্বাস রথ যাত্রার সূচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ্‌। রাজ্যের উত্তর জেলা এবং দক্ষিণ জেলা থেকে শুরু হওয়া এই রথ যাত্রা ৬০ টি বিধানসভা কেন্দ্র পরিক্রমা করে। এই কর্মসূচীতে অংশ নিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে গেছেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বরা। বৃহস্পতিবার ৮ দিন ব্যাপী চলা এই জন বিশ্বাস রথযাত্রার পরিসমাপ্তি ঘটে। এদিনের সমাপ্তি কর্মসূচীতে অংশ নিতে রাজ্যে আসেন বিজেপি-র রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সকালে বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। বিমানবন্দরের সামনে রাষ্ট্রীয় সভাপতিকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হন হাজারো কর্মী সমর্থক।

গাড়িতে ওঠার সময় তাদের হাত নেড়ে সম্বোধন করেন তিনি। এরপর কামান চৌমুহনী থেকে জন বিশ্বাস রথযাত্রায় সামিল হন রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সুসজ্জিত এই যাত্রায় কর্মী সমর্থকের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। জাতীয় যুব দিবসের দিন এই কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘটে।  এদিন রথযাত্রায় অংশ নেন রাষ্ট্রীয় সভাপতির সভাপতির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, নির্বাচনী প্রভারী মহেন্দ্র সিং সহ অন্যান্যরা। রথযাত্রা যত এগিয়েছে তত বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। শহর পরিক্রমা করে রথ যাত্রা শেষ হয় উমাকান্ত স্কুল মাঠে। সেখানে হয় হয় জন বিশ্বাস যাত্রার সমাপ্তিতে বিজয় সংকল্প জনসভা। সভায় সম্বোধন করেন রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তিনি বলেন বিকাশের নতুন রাস্তায় চলছে ত্রিপুরা। অন্ধকারে থেকে আলোর গুরুত্ব অনুধাবন করতে না পারলে রাজনীতিতে সব সময় ক্ষতির মুখ দখতে হবে। সিপিএম-র কালো দিনের কথা ভুলে গেলে চলবে না। সিপিএম মানেই ধর্ষণ, বনধ, আন্দোলন, সন্ত্রাস, চাঁদা আদায়, রাজনৈতিক দৃষ্টিতে মানুষকে শেষ করা, বিরোধীদের হত্যা করা। বিজেপি মানেই দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ শাসন ব্যবস্থা তুলে ধরা।

বর্তমান সরকারের সময় একটিও রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি। আলোর মজা নিতে হলে অন্ধকারকে চিনে রাখতে হবে। আর এই আলোর জন্য বিজেপি-কে ক্ষমতাসীন করার আহ্বান জানান বিজেপি -র রাষ্ট্রীয় সভাপতি। কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টদের বিশ্রামে পাঠানোর বার্তা দেন। তাদের ওষুধ ও শুভেচ্ছা জানানোর সময় এসেছে। কারন এখন কাজের সময়। তাই যারা ক্ষমতাসীন হয়ে রাজ্যের মানুষের ভাগ্য ও ছবি বদলাতে পারেন তাদের ফের সুযোগ দিন। একটা সময় ত্রিপুরা সমস্ত কিছু থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন সমৃদ্ধ ত্রিপুরা গড়ার কাজ চলছে। এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা, উন্নত ত্রিপুরা, সুশাসন ত্রিপুরায় গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে সরকার। এই জন বিশ্বাস যাত্রায় ২০০ উপর সভা হয়েছে। রাজ্যের মানুষ স্থির করে নিয়েছে একবার বিজেপি, বার বার বিজেপি। সমাজের সকলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর নিরিখে মানুষকে বিজেপিকে পছন্দ করছেন বলে জানান রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য