স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ জানুয়ারি : বিজেপির রাষ্ট্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ভাষণ তাঁর নিজ রাজ্যের মানুষই শুনেনি। আর ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষটি শুনবে। ত্রিপুরা এসেও তিনি আবার মিথ্যা ভাষণে দিয়ে বলছেন ত্রিপুরায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা উন্নতি হয়েছে, রাজনৈতিক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি। মানুষ বিজেপির রাষ্ট্রীয় সভাপতির এই ভাষণ পত্যাখ্যান করবেন। বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই দাবি করেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুল ওয়াস্তিক।
তিনি বলেন, ভারতে মানুষ গরিব ছিল। দেশকে মজবুত ভারত গড়তে কংগ্রেস বড় ভূমিকা পালন করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার রাজ্যে এবং কেন্দ্রে কোন কিছুই করেনি। ত্রিপুরা রাজ্যে এসে নির্বাচনের আগে মিথ্যা প্রচার করছে বিজেপি বললেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় মহিলাদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু দেখা গেছে সরকারের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কুমারঘাটে গণ ধর্ষণের ঘটনায় ঘটেছে। এই ঘটনায় জড়িত ছিল শাসক দল বিজেপির এক বড় নেতৃত্বের ছেলে।
কল্যাণপুর একটি নাবালিকার সাথে গণধর্ষণের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। শুধু তাই নয় ত্রিপুরা রাজ্যে তিন বছরের একটি শিশু কন্যার সাথেও এ ধরনের নরকীয় পাশবিক ঘটনা হয়। এই ঘটনাগুলির সাথে বিজেপি নেতারা জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। আবার এ সরকার সুশাসনের কথা বলছে। তাতে স্পষ্ট ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরিভাবে ভেঙে গেছে। ত্রিপুরা রাজ্যে এসে বিজেপির রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা দাবি করছেন পুরোপুরিভাবে ত্রিপুরায় রাজনৈতিক সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু গত ৩০ নভেম্বর চড়িলামে রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা শিকার হয়েছেন শহীদ মিঞা নামে এক বৃদ্ধ। জেপি নাড্ডা বৃহস্পতিবার রাজ্য সফরে এসে জন সমাবেশে আরও দাবি করছেন, ত্রিপুরায় গত পাঁচ বছরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছেন। কোন শিল্পকারখানা গত পাঁচ বছরে ত্রিপুরায় আসে না সরকারের সমালোচনা করেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, জয় প্রকাশ নাড্ডাকে হিমাচল প্রদেশের মানুষ ভালো করে জানে। তাই বিজেপির রাষ্ট্রীয় সভাপতি জয় প্রকাশ নাড্ডার কথা হিমাচলের মানুষই শুনেনি, আর ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ কি শুনবে? আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা কংগ্রেস সরকার গড়বে বলে দাবি করে ২০২৩ উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য ভালোভাবে শুরু হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি এই দিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি ক্যাম্পিং চালু করা হয়। নাম দেওয়া হয় “এবার বলবে ত্রিপুরা, আমরা বলছি, আপনারাও বলুন।” জনগণের অভিযোগ থাকলে এই নম্বরে জানানো হলে কংগ্রেস মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিরজিৎ সিনহা। সাংবাদিক সম্মেলনে এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা ড. অজয় কুমার, প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সহ অন্যান্যরা।