স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ ডিসেম্বর : রাজ্য সরকার একটি পলিসি ঠিক করে সরকারি স্কুলগুলি বেসরকারি করার। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনগুলি তীব্র বিরোধিতা জানায়। বিদ্যারজ্যোতি প্রকল্পে আনতে সরকার রাজ্যের ১০০ স্কুলকে বাছাই করেছে। বাম আমলে প্রত্যেকটি এলাকায় একটি করে স্কুল স্থাপন করা হয়েছে। সবার জন্য শিক্ষা চালু ছিল। এবং তখন সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেত। এখন সেই উৎসাহ নষ্ট করে দিতে সরকার ১০০ টি স্কুল বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প নিয়ে আসতে চাইছে।
সরকারের এ সিদ্ধান্তের পেছনে কি ষড়যন্ত্র রয়েছে তা গত শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট হয়ে গেছে আধিকারিকের বক্তব্যে। শনিবার বিকেলে ছাত্র-যুব ভবনের এস এফ আই, টি এস ইউ, ডি ওয়াই এফ আই, টি ওয়াই এফ -এর সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান এস এফ আই রাজ্য সভাপতি সন্দীপন দেব। তিনি শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে বলেন সরকারের কেন ১০০ টি স্কুলের দিকে বিশেষ নজর থাকবে। বিগত সরকারের আমলে তো রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল একই দৃষ্টিতে দেখা হতো। সরকারের এ ধরনের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়বে। ছাত্র-ছাত্রী এবং মহকুমা স্তরে স্কুলগুলির মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হবে। কারণ যদি বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়ন হয় তাহলে কেন রাজ্যের সব স্কুল বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের আওতায় আনা হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এবং সরকারের বেসরকারিকরণ করার সিদ্ধান্ত শিক্ষাবান্ধব এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নের দিশা দেখাতে পারেনা। রাজ্যে বেকার যুবক যুবতীদের মধ্যেও কর্মসংস্থানের সংকট নেমে আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাই সরকারকে বেসরকারিকরণ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে বলে আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব বক্তব্য রেখে বলেন, শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে দপ্তরের অধিকর্তার বক্তব্যে বেশ কিছু ষড়যন্ত্রমূলক দিক ষ্পষ্ট হয়ে গেছে। দপ্তরের অধিকর্তা বলেছেন, সেসব স্কুলের ছাত্রদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে প্রতিবছর সংগ্রহ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী সে বিষয়ে কোনো স্পষ্টীকরণ দেন নি। যদি ১০০ টি স্কুলের ১ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে সংগ্রহ করা হয় তাহলে বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। আর সেই টাকা সরকার গ্রহন করবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে সেই টাকা কার জন্য সংগ্রহ করা হবে। এর পেছনে কি ধরনের বড় ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে যা সরকার আড়াল করতে চাইছে। শিক্ষামন্ত্রী সবকিছু জেনেও সাংবাদিক সম্মেলনে কোন স্পষ্টীকরণ দেননি বলে অভিযোগ তোলেন।