আগরতলা। ১০ ডিসেম্বর। মানুষের মধ্যে মিথ্যা রটাচ্ছে একটা অংশ। তারা রাজ্যের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করছে। তবে সরকার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করছে। গত বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় শূন্যপদ পূরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের জন্য ৪১০ জন স্টাফ নার্স, ৭৫ জন ফিক্সড পে বেসিসে স্টাফ নার্স, হোমিওপ্যাথির ২২ জন ফার্মাসিস্ট, আয়ুর্বেদিকের ২৫ জন ফার্মাসিস্ট, ৩৯ জন ল্যাব টেকনেশিয়ান, ৪১২ জন অ্যালোপ্যাথি ফার্মাসিস্ট নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভা। একই সঙ্গে আই টি আই -এর জন্য ৫ জন গ্রুপ বি গ্যাজেটেড প্রিন্সিপাল নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রাজ্য কিছু লোক রয়েছে যারা গুয়েবলসের উত্তরসূরি। সারা রাজ্যের মানুষ যাদের প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের এখনো নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি যায়নি। কেউ কেউ আছে জেগে ঘুমাচ্ছে।
রাজ্যের ছেলে মেয়েরা গুনগত শিক্ষায় শিক্ষিত হোক, অন্যান্য রাজ্যের ছেলে মেয়েদের মতো এগিয়ে যাক এটা চায়না যারা তারাই শিক্ষা দপ্তরের দু একটি বিষয় নিয়ে রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে বলেন জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। রাজ্যের সচেতন মানুষ তাদের এই বিভ্রান্তি ঘৃনা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে বলে জানান তিনি। এরাই ভারত পাকিস্থান খেলা হলে ভারতের পরাজয়ে বাজি পোড়ায়। এই মানসিকতার কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি এদিন ড্রপ আউটের আগের এবং বর্তমান পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। একই সঙ্গে ভর্তির ক্ষেত্রেও এই পরিসংখ্যান সম্পর্কে অবগত করেন। রাজ্যে আগে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সংখ্যা ছিল ১২৭ টি। বর্তমানে সাড়ে তিন বছরে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল হয়েছে ১৩৫ টি। প্রি পাইমারি সাড়ে তিন বছরে হয়েছে ৮৮ টি। পারফর্মিং ইনডেস্কে ত্রিপুরার স্থান গ্রেড ওয়ান। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে প্রথম। ৩১ টি পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিদ্যাজ্যোতি। ১০০ টি স্কুলকে সি বি এস সি-তে উন্নিত করার জন্য আবেদন জানানো হয়। এর জন্য ৪৫ হাজার টাকা করে রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ টি স্কুল সি বি এস সি-র অনুমতি পেয়েছে। সরকারি এই স্কুলগুলি থাকবে সি বি এস সি-র অধীন। দাবি মোতাবেক প্রতিটি জেলার বাছাই করা ১০০ টি স্কুলকে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
এই ১০০ টি স্কুলে ১০০ জন একাডেমিক কাউন্সিলার নিয়োগ করা হবে। স্পেশাল এডুকেটর ১০০ জন। পি ই টি ১০০ জন নিয়োগ করা হবে। প্রি পাইমারিতে প্রত্যেক স্কুলের জন্য ৩ জন করে শিক্ষক, থাকবে আয়া, স্টাফ নার্স। পি জি টি সোসিওল্যাজি, সাইকোলজি , জিওগ্রাফী, ইকোনোমিক্স বিষয় শিক্ষক নিয়োগ করা হবে ৭৫ জন করে। ১০০ জন লাইব্রেরিয়ান নোয়োগ করা হবে ১০০ জন। ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে এই নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ১৪৬ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তার অনুমোদন দিয়েছে অর্থ দপ্তর। এক বেলা হবে স্কুল। বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের অধীনে থাকা স্কুলগুলির বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এই ক্ষেত্রে ২৬২২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা লাগবে এলিমেন্টারিতে। টি আর বি টি তাদের ফলাফল প্রকাশ করার পর সেখান থেকে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ২৩৯ জন শিক্ষক দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে টি আর বি টিকে। যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তাদের রাজ্যের ছেলে মেয়েদের নিয়ে ছেলে খেলা না করার আহ্বান জানান তিনি।