স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ ডিসেম্বর : ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর বামপন্থী সংগঠনের ডাকে ভারত বনধ ডাকা হয়েছিল। আর সেই ভারত বনধকে কার্যকর করতে তৎকালীন বামপন্থী সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিলোনিয়া শহরজুড়ে বিলোনিয়া সিপিআইএম বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক তাপস দত্ত, সিপিআইএম দলের সন্ত্রাসের মাস্টারমাইন্ড ত্রিলোকেশ সিংনহা, অপর একজন কৃষক নেতা বাবুল দেবনাথ সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। বিলোনিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বৃহস্পতিবার।
এর জন্য বলা হচ্ছে আবারো প্রমাণ হয়ে গেল বিগত সরকারের আমলে অরাজগতা চলছিল রাজ্যে। কিন্তু আইন আইনের পথে চলে তা আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিল আবারো। শুক্রবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বলেন প্রদেশ বিজেপি মুখ্য মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি বলেন বামপন্থীরা দেশের প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনে যেকোনো কারণে দেশের অগ্রগতি রুখতে প্রতিবছর ৩-৪ বার বনধ ডেকে। তৎকালীন সময়ে বনধ ডেকে বিলোনিয়ায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। বিচারপতি রুহি দাসকে নিগ্রহ করেছিল। বিচার কাজ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। আর এটা গোটা দেশ এবং রাজ্যের মানুষ দেখেছে। কিন্তু তার বিচার মিলল বৃহস্পতিবার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালত কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা বর্তমানে উন্নতি হয়েছে। আর বিচারব্যবস্থা বামপন্থীদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সেই সময় কতটা অরাজকতা চলছিল রাজ্যে। ভারতীয় জনতা পার্টি যখন মানুষের কাছে বারবার সেই বিষয়টি তুলে ধরে তখন তাদের নেতৃত্ব মানিক সরকার এবং জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা অবনতি হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। কিন্তু মানুষের অধিকার কতটা হরণ হয়েছিল তার জ্বলন্ত উদাহরণ হল বৃহস্পতিবার বিলোনিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়। বামপন্থীরা সেদিন যে বাহুবলী দেখিয়েছিল তার প্রমাণ এই রায়ে উঠে এসেছে বলে জানান সুব্রত চক্রবর্তী।