স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ জানুয়ারি : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩- কে সামনে রেখে মঙ্গলবার প্রজ্ঞা ভবনে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের উদ্যোগে এক প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়। মূলত বৈদ্যুতিন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ঊষাজেন মগ, এস বন্দ্যোপাধ্যায়, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা দেবাশীষ নাথ। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক উসাজেন মগ জানান নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। এক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণতন্ত্রকে মজবুত করতে গেলে সকলের অবগত থাকা প্রয়োজন কি রয়েছে তাতে। নির্বাচনী কাজে যারা যুক্ত তাদের ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। কিভাবে তা নিখুঁতভাবে কার্যকর করা যায় তার জন্যই এই প্রশিক্ষণের আয়োজন।
কোন বিষয়ে জানার থাকলে তা স্পষ্টিকরণ দেওয়ার জন্যই এই ধরনের উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের। ই ভি এম, নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সম্পর্ক সম্বন্ধে অবগত করা হয়। নির্বাচন ঘোষণার পর কি কি ধরনের নির্দেশাবলী প্রযোজ্য হয়, সেই সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেন বিশেষজ্ঞরা। ই ভি এম -গুলি পরিক্ষার পর প্রথম অবস্থায় ১০ শতাংশ ই ভি এম প্রতিটি জেলায় পাঠানো হয়েছে প্রশিক্ষণ বাবদ ব্যবহারের জন্য। নবীন ভোটার ও ভোটারদের উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে হাতে-কলমে ইভিএম সম্পর্কে ধারনা দিতেই এই ব্যবস্থাপনা। এদিনের প্রশিক্ষণে ইভিএম এবং ভিভি প্যাট এর কাজ গুলি হাতে কলমে অবগত করা হয় সাংবাদিকদের। পাশাপাশি ভোটার হার বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান।
সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে ভোটাররা যাতে বাড়ি থেকে নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা কতটা করা হয়েছে ? বিগত দিনে নিরাপত্তা দিতে পারেনি প্রশাসন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে ক্রমাগত ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে। সে ক্ষেত্রে পিসাইডিং অফিসারের ভূমিকা কি ছিল সেই বিষয়ে বিগত নির্বাচন গুলির পর কোন ধরনের বিষয় অবগত করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। এমনকি দায়িত্বে থাকা অফিসারদের কোন ধরনের গাফিলতি রয়েছে কিনা সে বিষয়টাও কতটা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সংগঠিত না হয়ে তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানায় সংবাদ মাধ্যম। এবং ভোটাররা যদি বাড়ি থেকে বের হয়ে ভোটকেন্দ্রে নিরাপদে যেতেই না পারে তাহলে আধা সামরিক বাহিনী রাজ্যে এনে কি লাভ। এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।