Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যরাস্তায় নেমে আন্দোলন ১০,৩২৩ -এর সাথে তাদের পরিবার

রাস্তায় নেমে আন্দোলন ১০,৩২৩ -এর সাথে তাদের পরিবার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ জানুয়ারি : পরিবারের বৃদ্ধ মা-বাবা এবং কচিকাঁচা ছেলে মেয়েদের নিয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাস্তায় নামলো চাকরিচ্যুত ১০,৩২৩ -এর যৌথ মঞ্চ। পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালবেলা পুলিশ প্রশাসনের চোখ রাঙানোকে অবজ্ঞা করে জোরদার আন্দোলনে নামলো চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং তাদের পরিবার। গত ২৬ ডিসেম্বর ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষক সংগঠন গুলি যৌথভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মহাকরণ অভিযান সংঘটিত করার। সে মোতাবেক যৌথ মঞ্চ ১০,৩২৩ -এর শিক্ষক শিক্ষিকারা সমবেত হয়ে মহাকরণ অভিযানের জন্য রওনা হয়।

মিছিলটি রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে সার্কিট হাউস সংলগ্ন এলাকায় আসতেই মিছিলটি আটকে দেয় পুলিশ। চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী আইনজ্ঞদের সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠকে মিলিত হয়েছে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী দ্বিতীয় পর্বের বৈঠক করার প্রস্তাব দেন। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়। তাই তারা রবীন্দ্রভবনের সামনে প্রয়াত মন্ত্রী এন সি দেববর্মার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মিছিল শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে আবারও পুলিশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয় মিছিল।

তাদের দাবি অবিলম্বে আর টি আই অনুযায়ী ও প্যারা ১২৭ মূলে সকলকে বিদ্যালয়ে পুনর্বহাল করার জন্য। বর্তমান সরকারি পাঁচ বছরের মেয়াদকালে হাতে মাত্র আর দুটি মন্ত্রিসভা রয়েছে। এর মধ্যে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। সরকার যদি ভেবে থাকে তাদের এড়িয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ভোট হবে তাহলে ভুল ভাবছে। কারণ ১০,৩২৩ -এর সাথে জড়িত রয়েছে এক লক্ষাধিক ভোটার। সুতরাং তাদের দূরে সরিয়ে ভোট গাইতে পারবে না সরকার বলে জানান চাকরিচ্যুত শিক্ষক কমল দেব।

ছেলের চাকরি ফিরে পেতে এদিন দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে মিছিল করলেন আশি, নব্বই উর্ধ্বে বৃদ্ধ মা বাবা।পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরা জানান, ইতিমধ্যেই বহু শিক্ষক শিক্ষিকা প্রয়াত হয়েছেন। প্রতিটি পরিবার গভীর উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। অভাব অনটন তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। এই অবস্থায় চাকুরি ফিরিয়ে দিলে তাদের জীবন আর সচল হতো বলে জানান পরিবার গুলির  বয়জ্যেষ্ঠরা।

কমল দেব আরো জানান মুখ্যমন্ত্রী যদি কোন ধরনের সদত্তর না দেয় তাহলে তারা রাস্তায় থাকবেন। কিন্তু ব্যারিকেড দিয়ে আদা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে তারা মহাকরণ অভিযান করেছিল, কিন্তু এভাবে সেনা মোতায়েন করার কোন প্রয়োজন ছিল না। দুপুর ঘনিয়ে সন্ধ্যা হলেও কোনরকম আশ্বাস পায়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মাঝ রাস্তা থেকে চিঠি দেন চাকুরিচ্যুত ১০,৩২৩ -এর শিক্ষক শিক্ষিকারা।নাহলে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মাঝ রাস্তায় বসে থাকবে বলে দাবি করেন তারা।

কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে পরবর্তী সময় তারা সার্কিট হাউস থেকে মিছিল করে রাজধানী সিটি সেন্টারের সামনে এসে গনবস্থানে বসে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য