স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ ডিসেম্বর : ধর্মনিরপেক্ষতার মূলকথা হলো ধর্ম যার যার, কিন্তু দেশ সবার, সরকার সবার। মানুষ নিশ্চুপ থাকলে চলবে না। বৃহস্পতিবার প্যারাডাইস চৌমুহনিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণ, তাদের সাংবিধানিক অধিকার ও জীবন জীবিকার উপর আক্রমণ বন্ধ করার কর্মসূচিতে বক্তব্য রেখে এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। খ্রিস্টান এবং মুসলিম অংশের মানুষ বিশেষ করে দেশে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মুসলিম অংশের ছেলেমেয়েরা বিশেষ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেতৃত্ব দিচ্ছে।
কারণ তারা সাহসিকতা নিয়ে আন্দোলন এগিয়ে আসে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে দেশদ্রোহী মামলা লাগানো হচ্ছে। এবং তাদের উপর আঘাত নামিয়ে আনতে সরকার তাদের উপর আঘাত নামিয়ে আনছে। সংখ্যালঘুরা দীর্ঘ ৫০-৬০ বছর ধরে যেসব সরকারি জায়গায় বসবাস করে আসছে সে সব জাগায়গুলিকে বাছাই করে উচ্ছেদের পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশেষ করে এটা ত্রিপুরার পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামে প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে সরকারের এ নিতি। এর জন্য প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করছে। আসলে আর এস এস পরিচালিত বিজেপি সরকার মুসলিম বিদ্বেষী মানসিকতা নিয়ে চলছে। এমনকি বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সংবিধানের দুটি চ্যাপ্টারে কারা নাগরিকত্ব পাবে তা নিয়ে কোন ধর্মের উল্লেখ না থাকলেও বিজেপি সরকার গণতন্ত্রকে পদদলিত করে সংখ্যালঘু অংশে মানুষকে নাগরিকত্ব দিতে চাইছে না। আর সংখ্যালঘু অংশের মানুষ বলতে শুধু মুসলিম অংশের মানুষ নয়। দেশের যেসব অংশের মানুষ কম রয়েছে তাদের উপর সরকারের এ মনোভাব নামিয়ে আনা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে এভাবে সংখ্যালঘুদের সবদিক দিয়ে পেছনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।
শ্রী সরকার আরো বলেন, বিজেপি ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে মানুষের মত প্রকাশ এবং সমালোচনা করার অধিকার কেড়ে নিলে চলবে না। মানুষের কাজ নেই, খাদ্য নেই। মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে বলে জানান তিনি। স্বাধীনতার পর কৃষক আন্দোলন ঐতিহাসিক রূপ ধারণ করেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন দীর্ঘ এক বছর পর প্রত্যাহার করেছে। কাউকে কোন কথা বলতে না দিয়ে পার্লামেন্টে পাশ করে নিয়েছিল সরকার। এবং কৃষরদের ফসল ফলাতে পর্যন্ত ব্যাঘাত করেছে সরকার। কৃষকরা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। কৃষকরা নাকি দেশদ্রোহী বলে হাজার হাজার মামলা করেছে কৃষকদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তারপরও কৃষকরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। এদিন কর্মসূচিতে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।