Monday, July 28, 2025
বাড়িরাজ্যনেশা সামগ্রী সহ আটক যুবক

নেশা সামগ্রী সহ আটক যুবক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ ডিসেম্বর :  আগরতলা শহরে নেশার রমরমা করিডরের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। নেশা কারবারির মূল পান্ডা জালে না উঠায় রীতিমতো জনমনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ পুলিশ প্রতিনিয়ত হাতেগোনা দু একজন নেশা কারবারিকে জালে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। কিন্তু এর সাথে জড়িত কোন পান্ডার হদিশ পাচ্ছে না সদর মহকুমা পুলিশ। বুধবার রাতে আবারো এক নেশা কারবারিতে জালে তুলে বাহবা কামাতে চাইছেন সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ পূর্ব থানার পুলিশ।

বুধবার রাতে টাউন প্রতাপগড় এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ব্রাউন সুগারের কৌটা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। একই সাথে আটক করা হয় সুমন দেব নামে এক নেশা কারবারিকে। সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অজয় কুমার দাস জানান বুধবার পূর্ব আগরতলা থানার ওসির নিকট গোপন সংবাদ আসে টাউন প্রতাপগড় এলাকার সুমন দেবের কাছে বিপুল পরিমাণ নেশা সামগ্রী মজুত রয়েছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম গঠন করা হয়। তারপর টাউন প্রতাপগড় রাম ঠাকুর বালিকা বিদ্যালয় সংগঠন সুমন দেবের বাড়ি ঘেরাও করা হয়। বাড়ি ঘেরাও করার পর পুলিশ সুমন দেবের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। এই তল্লাশি অভিযানে ১২ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়।

একই সাথে আটক করা হয় সুমন দেবকে। কিন্তু সুমন দেবের সাথে থাকা মিঠুন দাস ওরফে কালু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কালু নিজের কাছে থাকা ব্রাউন সুগারের কৌটা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সেই ব্রাউন সুগারের কৌটা গুলি পুলিশ উদ্ধার করেছে। সুমন দেবকে আটক করে থানায় নিয়ে আশা হয়েছে। সুমন দেব শিকার করেছে সে এই ব্রাউন সুগার আগরতলা শহরে বিক্রয় করার জন্য নিয়ে এসেছে। মিঠুন দাস ওরফে কালু এই ব্রাউন সুগার সাপ্লাই করে বলেও জানিয়েছে। পুলিশ রিমান্ডের আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার সুমন দেবকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। পাশাপাশি পলাতক মিঠুন দাস ওরফে কালুকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলে জানান সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। তবে আগরতলা শহরে এই নেশাকারবারি পরিচালনা করার মূল মাস্টার মাইন্ডকে পুলিশ গত ৬ মাস ধরে রীতিমতো অভিযান চালানোর পরেও কেন আটক করতে পারছে না, তা নিয়ে এক প্রকার ভাবে জনমনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবং আগরতলা শহরে কিভাবে নেশা সামগ্রী প্রবেশ করছে তারও কোন হদিস পাচ্ছে না পুলিশ। আসলে এটা কি ব্যর্থতা, নাকি পুলিশের রফা দফা? যাই হোক পুলিশের যে কর্তব্যের গাফিলতি রয়েছে তা বারবারই জনসম্মুখে উঠে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রীকে খুশি করার জন্য সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বাবুরা প্রতিনিয়তই ক্যামেরার সামনে এসে সাধারণ নেশা কারবারিদের দাঁড় করায়। আর বাকিটা কি হচ্ছে ক্যামেরার আড়ালে সেটা ভালো বলতে পারবে সেইসব পুলিশ অফিসার। কারণ পুলিশের সদর কার্যালয়ের থেকে গত কয়েক মাস আগে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছিল শহরে অপরাধমূলক ঘটনা রুখতে মূল সড়কগুলিতে রাতের বেলা নাকা বসানো হবে। নিয়মিত যানবাহন এবং মানুষকে তল্লাশি করা হবে। আসলে সেই বিবৃতি কি কলাপাতা নাকি নির্দেশিকা তুলে নিয়েছে, তাও জানা নেই জনমনের। কারণ এগুলো কিছুই হচ্ছে না আগরতলা শহরে। বাড়ছে অপরাধমূলক ঘটনা। রুখতে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!