Friday, April 26, 2024
বাড়িরাজ্যপ্রধানমন্ত্রীর সফর তীব্র সমালোচনা করলেন মানিক

প্রধানমন্ত্রীর সফর তীব্র সমালোচনা করলেন মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ ডিসেম্বর :  প্রধানমন্ত্রীর সভায় লক্ষ্য পূরণ হয়নি, কাছাকাছিও যায়নি। মাত্র এক শতাংশ জনজাতি অংশে মানুষও উপস্থিত ছিল না। মহিলারা সংখ্যাও খুব নগণ্য ছিল। যা এক দুই শতাংশের অধিক হবে না। মানুষের মধ্যে উত্তাপ উল্লাস কিছুই ছিল না।

এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হলো চেয়ার ছেড়ে মানুষের লাফানোর সৌভাগ্য এদিন প্রধানমন্ত্রী অর্জন করতে পারেননি। সোমবার রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রেখে এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে মোদি সরকারের সর্বনাশা নীতির জন্য সারা দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে থেকে অনেক গুণ বেশি বাড়ছে ত্রিপুরা রাজ্যের জিনিসপত্র। আর এই পরিস্থিতিতে ন্যায্য মূল্যের দোকানে পর্যন্ত গিয়ে মানুষ সঠিকভাবে জিনিসপত্র পাচ্ছে না। কারণ সংশ্লিষ্ট দপ্তর চালাচ্ছে বিজেপি। আর এই অভিজ্ঞতা অর্জন করছে প্রতি ঘরের মহিলারা। এমনকি মহিলারা বাজারে পর্যন্ত যেতে পারছে না কারণ আয় নেই, উপার্জন নেই। রেগা কাজের ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ত্রিপুরা শীর্ষস্থানে ছিল। যার ফলে গ্রাম পাহাড়ের চেহারার পরিবর্তন হয়েছিল। বর্তমানে ৩০-৩২ দিনের বেশি কাজ হয় না। সরকার যে তথ্য তুলে ধরছে তার সম্পূর্ণ ভুল। বরং মন্ডলের নেতারা তার উপরও আবার থাবা বসাচ্ছে। গত দুর্গাপূজার আগে যারা কাজ করেছিল তাদের মজুরি এখনো মিলে নি। আজ এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরায় এসে গলা ফাটিয়ে বক্তব্য করছেন। কিন্তু তিনি কি ত্রিপুরার খবর রাখেন ? যা লিখে দিয়েছে তা পড়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা কি একজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট সুলভ সরকার প্রথম থেকে মানুষের উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। এ সরকার চাইছে মানুষ বিরোধী দল ত্যাগ করে তাদের সাথে কাজ করার জন্য এবং তাদের ঝান্ডা নিয়ে ঘুরার জন্য। গৃহ প্রবেশের নামে যে অনুষ্ঠান করেছেন, তারপর পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা বলেন এ সরকার রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যে ঘর প্রদান করেছে বলছে তা পূবর্তন সরকারের আমলের ঘর অর্থাৎ ২০১১ এবং ২০১৬ সালে প্রদান করা ঘর। কেন্দ্র থেকে দাবি আদায় করেছিল তৎকালীন সরকার। কিন্তু বর্তমান সরকার এসে সে নামের তালিকা কেটে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। যদিও নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় নাম কাঁটতে পারেনি। এখন যখন ঘরের টাকা দেওয়া হচ্ছে তখন এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিতে ভাগ বসাচ্ছে মন্ডল নেতারা। চার দফার মধ্যে দুই দফার টাকা দিয়ে বলছে বামফ্রন্ট ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে হবে, পাশাপাশি শাসক দলের মিছিল মিটিংয়ে যেতে হবে। নাহলে ভোট আসছে, ঘরের জন্য বাকী টাকা মিলবে না। ৪০-৫৫ ভাগ এখনো ঘর তৈরি হয়নি। আর প্রধানমন্ত্রী এসে ভাষণ দিয়ে গেলেন। ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের কোন কিছু বলেন নি। সপ্তম বেতন কমিশন মিলে নি এ বিষয়ে কিছু বলেন নি প্রধানমন্ত্রী। তাই বিজেপি সরকার পরাস্ত করতে মহিলাদের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য