স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ ডিসেম্বর : শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত লতুয়াটিলা গ্রাম পঞ্চাায়েতের অধীনে কুশারঘাট এলাকার গোশালার চরম ও নিয়ম নিয়ে সরব হল সাধারণ মানুষ। রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায় শনিবার। জানা যায়, শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত লতুয়াটিলা গ্রাম পঞ্চাায়েতের অধীনে কুশারঘাট এলাকায় গোশালা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠছিল। বি এস এফ জোওয়ানরা যেসকল গরু সীমান্তে পাচারের সময় আটক করে, সেই গরুগুলি এই গোশালায় নিয়ে আসে।
কুশারঘাট এলাকায় এই গোশালা দেখার দায়িত্বে রয়েছে দিল্লীর ধ্যান ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা। কুশার ঘাট এলাকায় গৌশালায় বর্তমান সময়ে প্রায় ৯০০ -এর অধীক গরু ও বাছুর রয়েছে। গরুগুলি সঠিকভাবে খাদ্য দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। অপরদিকে এতগুলি গরু দেখার জন্য একজন চিকিৎসক রয়েছে। এই গৌশালায় রাখা গরু শীতকালের ঠান্ডায় ও ঘনকুয়াশায় খোলা জায়গায় রয়েছে। যার ফলে খাদ্যের অভাবে, চিকিৎসার অভাবে ও শীতে প্রতিনিয়ত গরু ও বাছুর মারা যাচ্ছে। এই সকল অভিযোগ পাবার পর শান্তির বাজার মহকুমা শাসক অভেদানন্দ বৈদ্য গোশালা পরিদর্শন করেন। পরবর্তী সময় অমরপুর স্থিত শান্তি কালী আশ্রমের চিত্ত মহারাজ ও বাইখোড়া ইস্কন মন্দিরের করুনেশ্বর মাধব দাস সহ অন্যান্যরা এই গোশালা পরিদর্শন করেন। সকলে এই গোশালা পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা জানতে পারেন। চিত্ত মহারাজ জানিয়েছেন গৌমাতাকে সঠিকভাবে লালন পালন করছে না। এই বিষয়ে তিনি রাজ্য সরকার ও গৌরক্ষা কমিটিকে পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য বিশেষ আহব্বান জানিয়েছিলেন। এলাকাবাসীরা এই অমানবিক কাজ কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। এই গৌশালায় ৬ থেকে ৭ টি গরু মারা যায়।
এই গৌহত্যার প্রতিবাদে শনিবার সকালবেলা কুশারঘাট এলাকায় বাইখোড়া মুহুরীপুর যাতায়তের রাস্তা অবরোধ করে জাতি জনজাতি অংশের মানুষ। পরবর্তী সময় সকলে গৌশালা প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এলাকাবাসী। সেখানে গিয়ে ধ্যান ফাউন্ডেশনের ভলেন্টিয়ারের হাতে হেনস্তার শিকার হতে হয় এলাকাবাসীকে বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ ধ্যান ফাউন্ডেশন গৌশালায় গরুদের জন্য যে খাবার বরাদ্দ থাকে তা সঠিকভাবে প্রদান করে না। এই গৌশালায় প্রচুর পরিমানে অর্থ নয় ছয় করে গরু হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ছুটে যায় পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।