স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ ডিসেম্বর : এস টি জি টি নিয়োগের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনের সামনে গিয়ে পুলিশের লাঠি পেটা খেতে হয়েছে চাকরি প্রত্যাশী যুবক যুবতীদের। এদিন চাকুরীর প্রত্যাশী যুবক-যুবতীরা তাদের দ্রুত নিয়োগ করার জন্য দাবি জানাতে যায়। কিন্তু মন্ত্রী গাড়িতে উঠে পুলিশকে বলেছিলেন ক্লিয়ার করার জন্য।
তারপরই পুলিশ চাকরি প্রত্যাশী যুবক-যুবতীদের উপর এভাবে লাঠি পেটা করেছে। এটা সরকারি পরিকল্পনা মাফিক হয়েছে। সরকার তার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। চূড়ান্ত সীমা অতিক্রান্ত করে গেছে এ সরকার। এর তীব্র নিন্দা জানায় কংগ্রেস। সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এমনটাই বললেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বলেন রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে রাজ্যের ভবিষ্যৎ -এর মেরুদন্ডের উপর যেভাবে লাঠি পেটা করা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন। তার স্বমঠো মামলা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ রাজ্যের পাহাড় সমান অর্থ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীরা। যদি এর তদন্ত না হয় তাহলে মনে হবে নরেন্দ্র মোদির সি বি আই, ই ডি এবং নির্বাচন কমিশনের মতো মানবাধিকার কমিশনার নতজানু হয়ে আছে।
শ্রী বর্মণ আরো বলেন, এদিনের যে ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। রাজ্য সরকার বিজেপি ক্যাডারদের রাজ্য পুলিশে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ হিসেবে নিয়োগ করতে চলেছে, আর দেশের এবং রাজ্যের ভবিষ্যৎ শিক্ষকদের নিয়োগ করার জন্য সরকারের কাছে অর্থ নেই সেটা বললে কোনভাবেই মানা যায় না। কারণ এগুলি সরকারের দিশাহীন সিদ্ধান্ত। কারণ বারবারই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে মূল্য দিতে চাইছে না। যুবক-যুবতীদের নেশায় আকৃষ্ট করতে বাধ্য করছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সুদীপ রায় বর্মন। আরো বলেন সকাল বেলা ঘটনার পর এখন পর্যন্ত মন্ত্রীর কোন সমবেদনা জানাতে দেখা যায়নি। যদিও এই সরকারের প্রতি প্রত্যাশা করা ভুল হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তাই আর দুমাস পর নির্বাচন। রাজ্যের গণদেবতা তাদের সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেবে। আর যেসব অফিসারেরা মন্ত্রীর নির্দেশে এগুলি করছেন তাদের চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে। মানুষ তাদের সম্পর্কে ওয়াকিবহল রয়েছে। আমাদেরও সময় আসবে। এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে আইনত্ব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন অফিসারদের বিরুদ্ধে সুদীপ। বর্তমান সরকার তার সীমানা অতিক্রম করে চলেছে। এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার সমস্ত সীমা পার করে গেছে। মানুষ প্রস্তুত রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করলেন সুদীপ রায় বর্মন।