স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ ডিসেম্বর : বর্তমান সরকার, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ভারতীয় মজদুর সংঘ গোটা রাজ্যে কোটি কোটি টাকা তোলাবাজি করছে। শ্রমজীবী মানুষের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনছে। ত্রিপুরাকে কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকার মিলে সর্বনাশ করে দিচ্ছে। শ্রমজীবী অংশের মানুষের কাছ থেকে চলছে লুটপাট।
বর্তমান সরকার আসার পর শ্রমিকদের কোন ধরনের মজুরি বৃদ্ধি পায়নি। শ্রমিক স্বার্থে কোন ইতিবাচক ভূমিকা বর্তমান সরকার নিতে পারেনি। শুক্রবার বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচনা করে সি আই টি ইউ রাজ্য দপ্তরের সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান সি আই টি ইউ রাজ্য কমিটি সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত। তিনি বলেন এ সরকার আসার পর গত পৌনে পাঁচ বছরে যেভাবে শ্রমিকদের কাছ থেকে লুটপাট চলছে তাতে বহু শ্রমিক কর্মচ্যুত হয়ে গেছে। ও এন জি সি -র গাড়ির চালকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে আট থেকে দশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে শাসক দলের কর্মীরা। কোন সার্ভে টিম ত্রিপুরায় আসতে পারছে না। রাজ্যে আসলে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা দাবি করা হয়। যার ফলে রাজ্যের অফুরন্ত গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না।
কয়লার গাড়ি এবং স্টোন চিপস রাজ্যে প্রবেশ করলে প্রত্যেক গাড়ি থেকে ৭০০ টাকা করে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি নেতারা। রেল গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী আসলে প্রতি লরি থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে তুলছে। বটতলার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সেন্টিগ্রেডের মধ্যেও চলছে এ ধরনের রাজনীতি। গাড়ি বটতলা সেন্টিগ্রেডে প্রবেশ করাতে ১ হাজার টাকা প্রনামী দিতে হয়। বটতলা এলাকায় পুরনো টি আর টি সি জায়গা থেকে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা আদায় করা হচ্ছে। এবং রেশন শপ প্রদান করার নাম করে দু লক্ষাধিক টাকা করে আদায় করছে বলে জানান তিনি।
এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর শ্রমিকদের স্বার্থে কোন কিছুই করে নি। পেট্রোল, ডিজেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্রমিকরা দিশেহারা হয়ে কর্মচ্যুত হয়ে পড়েছে। সাব্রুমে চা বাগান জবরদখল করে নিয়ে যেতে চাইছে। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা হলো কার্যকর হয়নি। অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদেরও মজুরি বাড়ে নি। মিড ডে মিল কর্মীদের সাম্মানিক ভাতা ৫০০ টাকা বাড়লেও তার কার্যকর হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে। এদিকে তিনি আরো বলেন, জানুয়ারি ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি মধ্যে যেকোন একদিন শ্রমজীবী অংশের মানুষকে নিয়ে একটি জনসভা করা হবে। এবং আগামী দিনের লড়াই আন্দোলন যোগদান করা হবে বলে জানান শ্রী দে।