স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ ডিসেম্বর : বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলো পূর্ব ঘোষিত সুচী অনুযায়ী শনিবার থেকে স্কুলগুলিতে শুরু হয়েছে নবম ও একাদশ শ্রেণীর ষাণ্মাসিক পরীক্ষা। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই ষাণ্মাসিক পরীক্ষা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল গুলির ন্যায় রাজধানীর নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনেও পরীক্ষা দেয় নবম ও একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা।
৮০ নাম্বারের উপর ভিত্তি করেই পরীক্ষা দিচ্ছে ছাত্র ছাত্রীরা। শান্তিপূর্ণ ভাবে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে বলে জানান স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক দিব্যেন্দু বিকাশ সেন। তিনি আরও জানান এই বছর নবম শ্রেণীতে স্কুল থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে ১৭৯ জন এবং একাদশে পরীক্ষা দিচ্ছে ২০২ জন। তবে এদিন ৪০ নম্বরে পরীক্ষার দাবিতে শনিবার সকালে চরিলাম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর সামনে নবম এবং একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। চরিলাম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় নবম এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ স্কুলে যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে ৮০ নম্বরের। সেই পরীক্ষা তারা দেবে না। কারণ অনেক আগে থেকেই তাদেরকে বলা হয়েছিল পরীক্ষা হবে ৪০ নম্বরের পরীক্ষা হবে এবং প্রশ্নের মান থাকবে ১ থেকে ২ নম্বরের।
কিন্তু হঠাৎ করে ১ ডিসেম্বর ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জানানো হয় তাদের পরীক্ষা হবে ৮০ নম্বরের। এবং প্রশ্নের মান হবে ২ থেকে ৩ থেকে ৪ এবং ৫ এবং ৬ নম্বরের। শনিবার দিন থেকে শুরু হবার কথা তাদের পরীক্ষা। শনিবার দিন স্কুলে এসে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী একত্রিত হয় এবং তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে যে হঠাৎ করে ৮০ নম্বরের পরীক্ষা এবং প্রশ্নের মান এত বেশি থাকলে কি করে পরীক্ষা দেব? স্কুলে এসে নবম এবং একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে স্কুলের সামনে জাতীয় সড়কে বসে পড়ে। দুই দিক থেকে শত শত গাড়ি এবং যানবাহন এবং এম্বুলেন্স আটকা পড়ে যায়। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় দশ থেকে পনেরো মিনিটের জন্য। স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা সুদ্দিতা দেববর্মা তখন নিজের রুমে বসে কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে জাতীয় সড়কে চিৎকার আওয়াজ শুনে দৌড়ে চলে আসেন স্কুলের বাইরে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বুঝিয়ে স্কুলের মধ্যে ঢুকিয়ে তালা দিয়ে দেন। এরপরেও ছাত্রছাত্রীরা তাদের দাবিতে অনড় থাকে। অনেকক্ষণ যাবৎ স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা এবং অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই মিলে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকক্ষণ যাবৎ বুঝিয়ে আয়ত্তে এনেছেন। তবে এলাকার শিক্ষানুরাগী মহলের বক্তব্য ছাত্র-ছাত্রীরা ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছিল যদিও জাতীয় সড়ক অবরোধ তাদের ঠিক হয়নি। অল্প সময়ের জাতীয় সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বিশালগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।