স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ নভেম্বর : গভীর রাতে ধারালো দা দিয়ে ঘরের জানালা, দরজা টিনের ভেড়া কেটে ঘরের ভিতরে ঢুকে মারধোর করে নগদ টাকা পয়সা লুটপাট করে পালিয়ে যায় দুস্কৃতীকারীরা। ঘটনার সাথে সাথেই থানায় খবর দেওয়া হলেও বারো ঘন্টা অতিক্রান্ত হবার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় নি বলে শাসক দলের প্রধান অভিযোগ তুলেন।
ঘটনা কৈলাসহরের চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ড এলাকায়। উল্লেখ্য, কৈলাসহরের গোলধারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনার পর কৈলাসহরের চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ড এলাকায় এই ঘটনা সংগঠিত হয় তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার বিবরনে জানা যায় যে, চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা সুকেশ দাশের বাড়িতে এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। বাড়ির মালিক সুকেশ দাশ জানান, মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমানোর পর গভীর রাতে প্রায় একটা নাগাদ ২০-৩০ জনের বাড়িতে এসে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। চিৎকার চেচামেচি শুনে সুকেশ দাস ঘরের পেছন দিয়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করে। ঘরের ভিতরে শুধু মহিলারা ছিলো। অনেক চিৎকার চেচামেচির পর ঘরের দরজা না খোলায় দুস্কৃতীকারীরা ধারালো দা দিয়ে ঘরের জানালা দরজা কেটে এবং ঘরের টিনের ভেড়া কেটে ঘরের ভিতরে ঢুকে ঘরের সুকেশ দাসকে খুঁজতে থাকে। ঘরে সুকেশ দাসকে না পেয়ে মহিলাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ সুকেশ দাসের।
খবর পেয়ে বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জোৎস্না দাশ সুকেশ দাশের বাড়িতে গিয়ে সবকিছু পরিদর্শন করেন। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন পুলিশের গাফিলতির জন্যই একের পর এক ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি। এখন দেখার বিষয় পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের কতটা জালে তুলতে সক্ষম হয়। তবে পরপর দুটি ঘটনায় কৈলাসহরে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।