Thursday, January 23, 2025
বাড়িরাজ্যনির্যাতনের শিকার গৃহবধূ

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ নভেম্বর : ভ্রুণ হত্যার ওষুধ খাইয়ে শশুর বাড়ির লোকজনেরা অসুস্থ করল গৃহবধূকে। উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন তারকপুর গ্রামে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গ্রামের বাসিন্দা মাতাব উদ্দিন গত ১ এপ্রিল মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী অসমের করিমগঞ্জ জেলার কাঠালতলীর বাঘন গ্রামের এক যুবতীর সঙ্গে বিবাহ হয়। বিয়ের সময় বরপক্ষ আসবাবপত্র সহ মোটর বাইক দাবি করে।

 কিন্তু কন্যা পক্ষ সেই পন মিটিয়ে দিতে পারেনি। কিন্তু বিবাহের পর দু’মাসের মধ্যে গৃহবধূ গর্ভবতী হয়ে পড়ে, তখন স্বামী মাতাব উদ্দিন ও তার পরিবার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য তাকে চাপ দেয় এবং সে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করা হতো বলে জানায় গৃহবধূ। এরই মধ্যে কোন একদিন রাতের খাবার পর স্বামী আতাব উদ্দিন ও তার কাকি স্বপ্না বেগম দুজনে মিলে বলপূর্বক গৃহবধূকে ভ্রুণ হত্যার ওষুধ খাইয়ে দেয়। তাতে পরদিন অসুস্থ হয়ে পড়লে কদমতলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা জেলা হাসপাতাল ধর্মনগরে স্থানান্তরিত করেন। সেখানেও তার সমাধান না হওয়ায় পরবর্তীতে মাকুন্দা লেপ্রসি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও থাকে অর্থের জন্য চিকিৎসা করানো হয়নি বলে অভিযোগ করে গৃহবধূর। পরবর্তী সময়ে তাকে তার কাঁঠালতলিস্থিত বাঘন গ্রামে বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

 এই অবস্থায় আরো তিন মাস কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত তার গর্ভের সন্তানটি কি অবস্থায় আছে তার খবর নিচ্ছে না অভিযুক্ত স্বামী সহ স্বামীর পরিবারের লোকজন। এদিকে এই বিষয়ে গৃহবধূ কদমতলা থানায় লিখিত অভিযোগ জানালেও পুলিশ স্বামী সহ অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ তুলে গৃহবধূ।স্বামী মাতাল উদ্দিন, শ্বশুর আনসার আলী, শাশুড়ি আলিমুল নেছা, কাকা শশুড় সিদ্দেক আলী ও কাকী শাশুড়ি স্বপ্না বেগমের নামে লিখিত অভিযোগ করে কদমতলা থানায়। বিগত প্রায় দেড় মাস অতিক্রান্ত হলেও পুলিশ হাত-পা গুটিয়ে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ। অপরদিকে জানা গেছে তার স্বামী গৃহবধুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে কদমতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বুধবার কদমতলা থানার সহযোগিতায় গৃহবধূকে পুনরায় ধর্মনগরে গর্ভপাত করানোর জন্য নিয়ে যায় গৃহবধুর মা ও পরিবারের অন্যান্যরা। বর্তমানে চরম রক্তস্বল্পতায় ভুগছে ওই গৃহবধূ। তবে কি ভ্রুণ হত্যার মতো অপরাধ জনক কাজ করেও পার পেয়ে যাবে মাতাবদের মতো অপরাধীরা ?

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য