স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ নভেম্বর : শাসক দল বিজেপি’র সন্ত্রাস অব্যাহত রাজ্যে। কংগ্রেসের “ভারত জুড়ো, ত্রিপুরা বাঁচাও” পদযাত্রার উপর শাসক দলের দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় শনিবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ছোত্তাখলা এলাকা। শাসক দলের দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয় যুব কংগ্রেসের কর্মী মুমিন মিয়া, মাসুফ মিয়া, হারাধন মজুমদার সহ আরো একাধিক কংগ্রেস কর্মী সমর্থক। ঘটনা বিবরণে জানা যায় এদিন সকালে কংগ্রেস নেতা মানিক দাসের নেতৃত্বে “ভারত জুড়ো ত্রিপুরা বাঁচাও”পদযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু পদযাত্রা শুরু হওয়ার পর কিছুটা পথ এগিয়ে যেতেই শাসক দলের আশ্রিত বিজেপি’র দুর্বৃত্তদের মুখোমুখি হয়।
বিজেপির দুর্বৃত্তরা বহু প্রচেষ্টা করে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের পদযাত্রা রুখে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাদের বাধা অতিক্রম করে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা পদযাত্রা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে তখন লাঠি শাটা, রড নিয়ে বিজেপির দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় কংগ্রেসকর্মী সমর্থকদের উপর বলে অভিযোগ। কংগ্রেস-কর্মী সমর্থকদের সাথে সাথে পি আর বাড়ি থানার পুলিশকে খবর দেয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়নি। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। তারপর পি আর বাড়ি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করা হয় পি আর বাড়ি থানায়। কংগ্রেস নেতৃত্ব জানান এদিন থানার ওসি বাবুকে ফোনে বহুবার ঘটনাস্থলে ছুটে আসার জন্য বলা হলেও তিনি আসেননি। পুলিশের চরম গাফিলতির কারণে বহু কংগ্রেস কর্মী আহত হয়। পুলিশ দলদাস হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলে নেতৃত্ব। অবিলম্বে যদি বিজেপি দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার না করা হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানান তারা। এদের ঘটনাস্থলে যে বিজেপি’র যে দুর্বৃত্তরা ছিল তারা হলো ক্ষিতিশ দাস,দিলীপ দাস, টিঙ্কু পোদ্দার। তাদের নেতৃত্বে এই দিনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, টি এস আর সহ আধা সামরিক বাহিনী। বিজেপির এ ধরনের সন্ত্রাসে গোটা রাজ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এবং স্পষ্ট হয়ে গেছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সন্ত্রাসের উপর ভর করে ক্ষমতায় আসতে চেইছে বিজেপি।