স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ নভেম্বর : দুয়ারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনে কঠিন লড়াই লড়তে ভাজপার আঁদা জল খেয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে। কারণ গত পৌনে পাঁচ বছরে সংগঠন মজবুত করতে না পারায় এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের ভরসায় প্রত্যাবর্তন চাইছে বিজেপি। গত এক মাস ধরে রাজ্যে নির্বাচন প্রভারী হিসেবে রয়েছেন ড. মহেন্দ্র সিং। প্রতিদিন চলছে শুধু বৈঠক আর বৈঠক। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে প্রত্যাবর্তনের কোন পথ খুঁজে পাচ্ছে না শাসক দলের নেতৃবৃন্দ।
রাজ্যে বিপ্লব এবং মানিক জামানায় দলের ভবিষ্যৎ যে এক প্রকার অনিশ্চয়তা দিকে ঠেলে দিয়েছে তা বারবারই প্রমাণ মিলছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভিড় ক্রমশ রাজ্যে প্রতিদিন বাড়ছে। নেওয়া হচ্ছে কার্যকর্তাদের ক্লাস। শনিবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সংযুক্ত মোর্চার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ টাওরে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য স্তরে নেতৃবৃন্দ।
নেতৃত্ব এদিন অধিবেশনে অংশ নেওয়া সাতটি মোর্চার সভাপতি এবং সভা নেত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ চলা অধিবেশনে মোর্চার সভাপতি ও সভানেত্রীদের ক্লাস নেন। ২০২৩ -এ কি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে শাসক দলকে লড়াই করতে হবে সে বিষয়ে অবগত করেন। মূল লড়াইটা যেমন হবে পাহাড়ে, তেমনি হবে সমতলে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে এসে জল মেপে নিয়েছেন। কারণ রাজ্যের ৬০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশই শাসক দলের অনুকূলে নয়। আসন্ন লড়াইয়ের অংক কষে হতাশ হয়ে পড়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই লড়াইটা অগ্নিপরীক্ষা শাসকদলের জন্য। প্রতিদিন মানুষ আস্থা হারিয়ে পদ্ম শিবির থেকে যোগদান করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে। সূত্রে খবর ডিসেম্বর মাস থেকে দিল্লির বিজেপি নেতাদের এক প্রকার ডেলি প্যাসেঞ্জারে শুরু হয়ে যাবে ত্রিপুরা রাজ্যে। কোনভাবেই রাজ্য নেতৃত্বের হাতে সংগঠন ছাড়বে না। যাইহোক পৌনে পাঁচ বছরে প্রায়শ্চিত্ত করে এবার ময়দানে নামতে চলেছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।