স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ নভেম্বর : ২৫ অক্টোবর নতুন নগর এলাকায় গুলি কাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ পিস্তল সহ আটক করেছে দুই যুবককে। অভিযুক্ত দুই যুবককে পুলিশ ছিনাইহানি থেকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পশ্চিম থানায় সদর জেলা পুলিশ আধিকারিক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, গত কয়েকদিন আগে নতুন নগর এলাকায় গুলি কান্ড সংগঠিত হয়েছিল। এই ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার পর পুলিশ দুজনকে জালে তুলতে সক্ষম হয়। কিন্তু বাকি অভিযুক্তরা পলাতক ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রের খবরে পুলিশের একটি টিম ছিনাইহানি শ্মশানের কালী মন্দিরে পাশ থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে একজন হল সন্দীপ কর এবং অপর অভিযুক্ত প্রাণতোষ দাস। সন্দীপ করের বাড়ি উষা বাজার ছিনাইহানি এলাকায় এবং অপর অভিযুক্ত প্রাণতোষ দাসের বাড়ি একই এলাকায়। প্রাণতোষের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পিস্তল, ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড গুলি। মূলত নিগো বানিজ্যকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ চলছিল। যার জেরেই এই গুলির চালানোর ঘটনা ঘটে। উদ্ধার করা পিস্তল , ম্যাগজিন ও বুলেট ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। এই গুলি সেদিন ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা তা যাচাই করতে। ঘটনার তদন্ত চলছে। আটক দুই অভিযুক্তের বাড়ি এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্গত এলাকায়। তবে উদ্ধার করা পিস্তল কান্ট্রি মেইড বলে জানান সদর এস ডি পি ও। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন যুক্ত রয়েছে। তাদের সহসাই জ্বালে তোলা হবে বলে জানান তিনি।
আরও জানান সন্তোষ দাস এই গুলি চালিয়ে ছিল। পুলিশের তদন্ত শুরু হওয়ায় প্রত্যেকে চাপে ছিল। সন্তোষ দাসই প্রান্তোষকে পিস্তলটি লুকিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। আর তা লুকোতে এসেই দুই অভিযুক্ত ধরা পড়ে। উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর নতুন নগর বাজার সংলগ্ন একটি ধাবায় ফাস্ট ফুড খেতে আসে ৬ জন যুবক। সেখান থেকে খাবার খেয়ে বেড়িয়ে আসার পর তাদের উদ্দেশ্য করে গুলি চালানো হয়। চার রাউন্ড গুলি চলে এদিন সন্ধ্যা রাতে। এই ঘটনায় গুলি বিদ্ধ হয় দুজন। তারা হলেন নাম সঞ্জয় দাস, বাড়ি নতুন নগর দিঘালীয়া এবং অপর জনের নাম হরিপদ দাস, বাড়ি নতুন নগর দাশ পাড়া ছিনাইহানি। একজনের হাতে ও পায়ে এবং একজনের কোমরে গুলি লেগেছিল বলে জানায় পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তারা হল সন্তোষ দাস ও প্রভাকর ঘোষ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে বেশ কিছু নাম পায় পুলিশ। শুরু হয় বাকী অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি।