স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ নভেম্বর : অনশনের ৩০ তম দিন ছিল শুক্রবার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকায় হতাশ ক্ষতিগ্রস্ত ১০,৩২৩ শিক্ষক সমাজ। ২৮ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন তাদের সমস্যাটি নিয়ে আইনি পরামর্শদাতাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে কোন আশ্বাস পায়নি তারা। দীর্ঘ একমাস ধরে অনশন মঞ্চে বসে সরকারের কাছে আর্জি জানালেও এই আওয়াজ শহরের রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন এলাকা থেকে মহাকরণ পর্যন্ত পৌছাছে না বোধহয়। এটা কেমন দুর্বলতার প্রকাশ সরকারের তা নিয়ে আবারো উঠছে প্রশ্ন। এদিন অনশন মঞ্চ থেকে সংগঠনের নেতা প্রদীপ বণিক জানান, ২০১৭ সালে অন্যায় ভাবে চাকুরিচ্যুত হয় ১০,৩২৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকা।
পরবর্তী সময়ে তাদের অন্যায় ভাবে এডহক ভাবে স্বল্প সময়ের জন্য চাকরিতে নিয়োজিত করা হয়। তারপর এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানালেও এখন পর্যন্ত তাদের ৩৩ মাস ধরে বেতন থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকতে হচ্ছে। এ বিশেষ সুপ্রিম কোর্টে আর টি আই -এর মাধ্যমে দিনের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে গেছে চাকুরী যায় নি তাদের। কিন্তু এই সরকারও দেখা যাচ্ছে পূর্বতন সরকারের মতো অমানবিক হয়ে রাস্তায় বসিয়ে অভুক্ত রাখছে ১০,৩২৩ -কে। এটা সরকারের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয়। সুতরাং বর্তমান সরকারও পূর্বতন সরকারের মতো ভুল করছে। তিনি আরো বলেন, দেখা যাচ্ছে পূর্বতন সরকারের আমলে যারা বেআইনিভাবে এবং অন্যায় ভাবে ১০,৩২৩ -কে রাস্তায় বসিয়েছে তারা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। ১০,৩২৩ নিয়ে আগের সরকার যে ভুল করেছে তা বর্তমান সরকারের আমলেও চলছে। আর এই ভুলের কারণেই ২৫ বছরের সরকারের পতন ঘটেছে।
বর্তমান সরকার যদি বিষয়টি সমাধান না করে তাহলে এই সরকারেরও বিসর্জন হবে। এমনটাই বললেন প্রদীপ বণিক। তাই সরকারের উদ্দেশ্যে তারা দাবি জানায় ১০৩২৩ কে বাঁচানোর জন্য যাতে মানবিক হয়। কিন্তু এই আওয়াজ কতটা আগামী দিন অনশন মঞ্চ থেকে উঠবে তার ভবিষ্যতের কোন নিশ্চয়তা নেই। কারণ ধারাবাহিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা। অনশন মঞ্চের সামনে দিয়ে মন্ত্রী বাবুদের লালবাতির গাড়ি দিনের মধ্যে বহুবার চলাচল করলেও তাদের কানে পৌঁছাচ্ছে না আর্তনাদ।