স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ নভেম্বর : ত্রিপুরা রাজ্যে জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ মানুষ অন্যান্য পশ্চাদপদ সম্পদায় এবং সংখ্যালঘু অন্তর্ভুক্ত মানুষ রয়েছে। তাদের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। বিশেষ করে তাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে এবং কর্মসংস্থানের জন্য ঋণ প্রদান করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। এবং আগামী দিনে আরও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের কিভাবে বিকাশ ঘটানো যায় সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে চলেছে সরকার। কারণ অন্যান্য পশ্চাদপদ অন্তর্ভুক্ত মানুষ এবং সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন হলেই সমাজ এগিয়ে যাবে। আর সমাজ এগিয়ে গেলে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে উঠবে।
শনিবার মহাকরণের সাংবাদিক সম্মেলন করে ও বি সি দপ্তর এবং সংখ্যালঘু দপ্তরে মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল এ কথা জানান। তিনি বলেন পূবর্তন সরকারের আমলে বেনিফিসারিদের যে ঋণ দেওয়া হয়েছিল তার অস্তিত্ব এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারন তৎকালীন সময়ে সঠিকভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ আদায় করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে ঋণ প্রদান করার পাশাপাশি দিন আদায় করা বেড়েছে। তবে ঋণের চাহিদা আরো অনেক রয়েছে। দিল্লির ফান্ড আসতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এগুলি কিভাবে দ্রুত সুরাহা করা যায় সেদিকে নজর দিচ্ছে দপ্তর বলে জানান তিনি। এদিকে অন্যান্য পশ্চাদপদ দপ্তরের আধিকারিক নির্মল অধিকারি জানান গরিব অংশের মানুষের জন্য বাজেট থেকে গত পাঁচ বছরে ৯২৮ জনকে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করা হয়েছে। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ২৯ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। সামাজিক কাজের জন্য বিদ্যাসাগর সোশ্যাল কালচার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে ২০২১-২২ সালে আট জনকে। কর্মসংস্থানের জন্য গত চার বছরে ১,৩২৭ জনকে ৪৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাইনরিটি দপ্তরের অধিকর্তা দশরথ দেববর্মা।