স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ নভেম্বর : রাজ্যে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠা করতে ১০,৩২৩ এর শিক্ষক-শিক্ষিকারা জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে ২০১৭ সালে কোড অফ সার্ভিস কন্টাক্ট ভায়োলেট করে লড়াই করেছিলেন। এবং গত কয়েক মাস আগে উপনির্বাচনে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিষ্ঠা করতে সরাসরি বিজেপির হয়ে ময়দানে নেমে লড়াই করেছেন চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিন্তু তারপরেও যদি কেউ বলে থাকেন ১০,৩২৩ সিপিআইএমের তাহলে রাজ্যবাসী ক্ষমা করবে না।
বৃহস্পতিবার আমরণ অনশন মঞ্চ থেকে ১৫ তম দিনে এমনটাই হুশিয়ারি দিলেন ১০,৩২৩ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক সমাজের নেতৃত্ব প্রদীপ বণিক। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী এখন যদি সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট এবং আইনের বাহানা দেখায় তাহলে সেটা হবে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। এবং এর যোগ্য জবাব আগামী দিনে রাজ্যবাসী দেবে বলে জানান তিনি। ২০১৭ সালে যেসব দোষী আমলাদের জন্য ১০৩২৩ কে চাকুরী হারাতে হয়েছে তাদের এখন পর্যন্ত কোন বিচার হয়নি। বরং সেসব আমরা বর্তমান সরকারের আমলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তা অত্যন্ত নিন্দা জনক বলে জানান তিনি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্দেশ্যে দাবি জানান, মুখ্যমন্ত্রী যাতে আইনি উপদেষ্টা এবং আইন সচিবের সাথে কথা বলে ১০,৩২৩ চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
কারণ পরিবার পরিজন ছেড়ে আজ ১৫ দিন ধরে রাস্তায় অনশন মঞ্চে বসে আছে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেছে তন্ময় নাথে মামলায় তারা পক্ষপাতিত্ব নয়। কারণ রায়ের নথির মধ্যে কোথাও ১০,৩২৩ সংখ্যার উল্লেখ নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রী যাতে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করেন। তিনি আরো বলেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অল ইন্ডিয়া কলেজ এন্ড ইউনিভার্সিটি টিচার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অনশন মঞ্চে এসে যোগদান করবেন। আগামী ৫ নভেম্বর তিনি রাজ্য থেকে আবার চলে যাবেন। সমস্ত মহল থেকে দাবি উঠছে সরকার যাতে মানবিক দৃষ্টিকোণে দেখে গুরুত্বের সাথে তাদের স্থায়ী সমাধান করে। প্রয়োজনে তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট সামনে নিয়ে আসার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে জানান তিনি।