স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ নভেম্বর : ভারতীয় জনতা পার্টি দুই বিধায়কের সাংবাদিক সম্মেলনের পর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন প্রদেশ বিজেপি মুখ্য মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। অভিযোগ তুলেন রাজ্যবাসী মধ্যে বিভ্রান্ত করতে এ ধরনের প্রচেষ্টা।
আগামী ২৫ নভেম্বর আসন্ন পুর ও নগর ভোটের নির্বাচনী সরব প্রচারের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। এদিন ভারতীয় জনতা পার্টি দুই বিধায়ক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। এবং নিজেদের দায়িত্ববান কার্যকর্তা হিসেবে তুলে ধরেছেন। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির সমস্ত কার্যকর্তা থেকে শুরু করে পৃষ্ঠা প্রমুখ পর্যন্ত দায়িত্বশীল। তবে দুই বিধায়ক এদিন যেভাবে কথাবার্তা বলেছেন, তাদের
সাংবাদিক সম্মেলনের পর পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব কুনাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব, ব্রাত্য বসুর সমর্থন মিলেছে। দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে যা বলছেন তাতে বিরোধীরা উৎফুল্ল হয়ে উঠছে। ত্রিপুরার মানুষকে রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্ত করতে সরব প্রচারের শেষদিন এগুলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন প্রদেশ বিজেপি’র মুখ্য মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। ত্রিপুরা রাজ্যে এসে যারা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সারদা, নারদা সহ একাধিক কেলেঙ্কারি এবং খুন ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। আর তাদের সমর্থন করতে দলের কার্যকর্তা হয়ে এগুলি করছেন তারা।
তারা যদি দলীয় ভাবে দায়িত্ববান নেতা হিসেবে নিজেদের মনে করে থাকেন তাহলে কি দলের ন্যূনতম আদর্শটুকু গ্রহণ করেননি কেন ? তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুব্রত চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙ্গুল তুলে বিরোধীদের মাইলেজ দিতে এটা করা হয়েছে। রাজ্যবাসী যাতে বিভ্রান্ত হয় তার জন্য এগুলি বলছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। নির্বাচন কমিটি সদস্য হিসেবে তাদের নির্বাচনে মতামত কি তা জানতে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে যারা ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। যদি রাজ্যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র করে তাহলে জনগণ যাতে গন প্রতিরোধ গড়ে তুলে তার জন্য আহ্বান জানান তিনি। ক্লাবগুলো যাতে ভোটের দিন সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে। প্রত্যেক এলাকায় মানবজাতির নিরাপদে ভোট দিতে যেতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।