স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ অক্টোবর : বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার হাত ধরে আগরতলা রবীন্দ্র ভবনে স্টার্ট আপ ত্রিপুরা সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এদিন থেকে রাজ্যে শুরু হয় স্টার্টআপ ত্রিপুরা সপ্তাহ। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার অনুকরণে ২০১৯ সালে রাজ্যে স্টার্টআপ ত্রিপুরা শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলছেন, আর রাজ্য সরকার আত্মনির্ভর ত্রিপুরার কথা বলছে। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল যুগে নতুন নতুন অনেক কিছু এসেছে, যা ভাবা যায় না। সকলের সহযোগিতায় শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরার পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ ভারত গড়া সম্ভব হবে। এইটা না করলে প্রতিযোগিতায় দেশ পিছিয়ে যাবে। ডিজিটাল ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের থেকে কোন ক্ষেত্রে কম নয় ভারত। করোনা মোকাবেলার জন্য দেশের দুইটি ভ্যাক্সিন তৈরি করা হয়েছে। ভারতবর্ষ কোন অংশে কম নয়। দেশে মেধার কোন অভাব নেই। রাজ্য সরকার আইটি দপ্তরের মাধ্যমে যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর করার চেষ্টা করছে। স্টার্টআপ ত্রিপুরার জন্য যে ধরনের পরিবেশের প্রয়োজন তা ত্রিপুরা রাজ্যে রয়েছে। রাজ্যে শান্তিতে মানুষ বসবাস করছে। আইটি পলিসি তৈরি করা হয়েছে মানুষকে সাহায্য করার জন্য। বর্তমানে স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার পোর্টালে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ৫০ টি স্টার্টআপ নথিভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১৩ টি স্টার্টআপের নাম ত্রিপুরা আইটি স্টার্টআপের পোর্টালে নথিভুক্ত রয়েছে। তাদেরকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে।এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আইটি ক্ষেত্রে রাজ্যের উন্নয়নের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কারন রাজ্যে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ত্রিপুরা রাজ্য অনেকটা দূষণ মুক্ত। রেল, আকাশ ও সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে রাজ্যে। এমবিবি বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশে বিমান চলাচল সহসাই শুরু হবে। সব মিলিয়ে রাজ্যে আইটি ক্ষেত্রের উন্নয়নের একটা আবহাওয়া রয়েছে। ই-পরিষেবা চালুর ফলে রাজ্যের মানুষের লাভ হয়েছে। আইটি শিক্ষার উন্নয়নে রাজ্যে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার দিক থেকে কেরলের পরে স্থান ত্রিপুরার। রাজ্যে স্বাক্ষরতার হার ৯৭ দশমিক ২২ শতাংশ। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজ্যে রয়েছে। এইদিনের অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি স্টার্টআপের কর্ণধারের হাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রিন্সিপাল পুনিত আগারওয়াল সহ অন্যান্য আধিকারিক।