স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ অক্টোবর : দুয়ারে নির্বাচন। এ মুহূর্তে গুষ্ঠী দ্বন্দ্ব চাকরিচ্যুত ১০,৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে। আমরা ১০,৩২৩ সংগঠনের পক্ষ থেকে বুধবার চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটা অংশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে স্পষ্ট করে দিলেন কনভেনার ডালিয়া দাস। চাকরিচ্যুত শিক্ষিকা ডালিয়া দাস জানান, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিধানসভা অভিযান ঘিরে লাঠিপেটা খেতে হয়েছিল চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
তারপর মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার সুযোগ পায় চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রী সাথে দেখা করে আশ্বাস পেয়েছিলেন দুর্গাপূজার পর আইনজীবীদের সাথে কথা বলে আসন্ন দীপাবলি উৎসবের মধ্যে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে সে বিষয়ে জানানো হবে। কিন্তু দীপাবলির অপেক্ষা না করে একটা অংশ চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকা আগামী ২০ অক্টোবর থেকে আমরণ অনশনে বসতে চলেছে। কিন্তু যারা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তারা গত কয়েক বছরে চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্দোলনে ছিলেন না। আন্দোলনের ছিলেন তারা নিজেরা বলে বুধবার সিটি সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবী করেন ডালিয়া দাস। তিনি আরো বলেন যারা অনশনের ডাক দিয়েছেন, তারা সরকারকে নিয়ে কখনো রক্তদান শিবির, আবার কখনো সুশাসন রেলি সংগঠিত করেছে।
কিন্তু এতদিনেও কখনো তাদের দেখা যায়নি রাস্তায় নেমে সরকারের কাছে চাকুরির জন্য দাবি জানাতে দেখা যায়নি বলে প্রতিবাদ জানান তিনি। ডালিয়া দাস আরো জানান, অপেক্ষা না করে এই অনশন করার পেছনে মূলত কি উদ্দেশ্য রয়েছে তাদের সে বিষয়ে নিয়ে এখনও তারা কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। সুতরাং এ ধরনের অনশন সমর্থন করা হবে না বলে তিনি সংগঠনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেন। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ডালিয়া দাস ছাড়াও সংগঠনের অমূল্য দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। যাইহোক এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনের পর চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ষ্পষ্ট হয়ে গেছে। দুই সংগঠনের নেতৃত্বদের মধ্যে এ ধরনের বিরোধ ঘিরে মূলত কোন রহস্য রয়েছে কিনা তা এখন চিন্তায় ফেলছে সাধারণ চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের।