স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ অক্টোবর : দুর্গাপূজার চাঁদার জন্য পিটিয়ে খুন যুবককে। ঘটনা অমরপুর থানার অন্তর্গত চেলাগাং সুভাষ কলোনি এলাকায়। মৃত যুবকের নাম তাপস রায়। অমরপুর থানার অন্তর্গত চেলাগাং সুভাষ কলোনি এলাকার দুর্গাপূজায় মোটা অংকের চাঁদা না দেওয়ায় এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এ বছরও অমরপুর থানার অন্তর্গত চেলাগাং সুভাষ কলোনি এলাকায় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুর্গাপূজা শেষ হয়ে গেলেও এলাকায় কিছু বখাটে যুবক ও মহিলারা আমদ প্রমোদ করতে লাঠি সাঁটা নিয়ে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে।
যদিও তাপসের পরিবারের সাথে তাদের দুর্গাপূজার আগে থেকেই চাঁদা জুলুম বাজি নিয়ে বাচশা চলছিল। আর যার পরিসমাপ্তি ঘটেছে ডি ওয়াই এফ আই -র সক্রিয় কর্মী তাপসকে হত্যা করে। মোটা চাঁদা দাবি করায় তাপসের পরিবার দুর্গাপূজার আগে সেই টাকা মিটিয়ে দিতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে তাকে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্বারা আটক করায়। পরবর্তী সময় তার মা থানা থেকে ছেলেকে বাড়ি আনে। তারপরও তাপসের পরিবারের পেছনে সেই পুরুষ মহিলারা বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ তুলছিল। দশমীর দিন তার বাবাকে চেলাগাং বাজারে মারধর করে এলাকার সে বখাটেরা। কিন্তু তারপরও তারা ক্ষান্ত হয়নি। শুক্রবার বাড়িতে এসে আবারো চাঁদা জুলম ভাজি করে এলাকার মিঠু, কালু, সমীর, বিপুল, লালু দাস, স্বপ্না বর্মন, আশিস সাহা সহ তাদের সঙ্গপাঙ্গরা। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এদিন সেই যুবকেরা এবং তাদের নেতৃত্বে কিছু পুরুষ মহিলা বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। তখন তাপস এবং তার মা এগিয়ে আসলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত হন তাপস। আহত যুবক চিকিৎসা চলাকালীন শনিবার জিবি হাসপাতালে মৃত্যুর কূলে ঢলে পড়েন।
রবিবার ময়না তদন্তের পর পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনায় নেমে আসে শোকের ছায়া। অসহায় তাপসের মা দাবি জানান পুলিশ যাতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ঘটনা সংঘটিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেল পুলিশের না গেলে বাইরে অভিযুক্তরা। অমরপুর থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে দুর্গাপূজায় আগে চাঁদার জুলুম বাজি না করার জন্য সরকার নির্দেশ দিয়েছিল সে নির্দেশ কতটা পূরণ হয়েছে। এখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা সরকার নেবে কিনা।