স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৪ জুন : এক দেশ এক ভোট রক্ত সংকট থেকে মুক্তি দিতে পারে। এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। শনিবার আগরতলা প্রজ্ঞা ভবনে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের সুচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর ১৪ জুন দিনটিকে বিশ্ব রক্ত দাতা দিবস হিসাবে পালন করা হয়। ত্রিপুরা রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে সময়ে সময়ে রক্তের সঙ্কট দেখা দেয়। বিশেষ করে নির্বাচনের সময় ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের সঙ্কট দেখা দেয়।
সমগ্র বছরই নির্বাচন থাকে। তাই প্রধানমন্ত্রী এক দেশ এক নির্বাচনের কথা বলছেন। সেইটা হলে ভালো হয়। এতে করে কাজ করতেও সুবিধা হবে। করোনার প্রকোপ চলাকালীন সময় ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী যুব সমাজের নিকট রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। রক্ত দানের ক্ষেত্রে সমগ্র দেশের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্য ভালো স্থানে রয়েছে। রক্তের কোন বিকল্প হয় না। রক্ত ক্রয় করা যায় না। এক ইউনিট রক্ত দিয়ে তিন জন মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। রক্ত দান করলে রক্ত দাতারও লাভ হয়। প্রতি তিন মাস পর পর একজন পুরুষ ব্যক্তি রক্তদান করতে পারে। এক জন মহিলা চার মাস পর পর রক্ত দান করতে পারে। খুব কম সময়ে রক্তদান করা যায়। কিন্তু যার শরীরে এই রক্ত যায়, সেই ব্যক্তি সারা জীবনের জন্য মনে রাখে।
রক্তের ৮ টি গ্রুপ রয়েছে। তার মধ্যে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত কম পাওয়া যায়। কোন কোন সময় রক্তের প্রয়োজন হয় সেই বিষয়ে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন রক্তের জন্য কাউকে যেন মৃত্যু বরন করতে না হয় সেই দিকে সকলকে নজর রাখতে হবে। রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। যত বেশি সচেতনতা বৃদ্ধি করা যাবে, তত বেশি মানুষ রক্তদানে এগিয়ে আসবে। এইদিনের অনুষ্ঠানে যারা স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার ক্ষেত্রে নজির গড়েছে তাদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। একই সাথে এইদিন রক্তদানের বাৎসরিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে। ত্রিপুরা স্টেট ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিলের ওয়েব পেজ ত্রিপুরা রক্ত কোষের সূচনা করা হয়। এছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বার্ষিক মুখপাত্র স্বাস্থ্য সংবাদের প্রকাশ করা হয় এইদিন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্তে, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডাক্তার তপন মজুমদার সহ অন্যান্যরা।