স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৪ জুন : চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের পুনঃনির্মাণ করল এনসিসি থানার পুলিশ। শনিবার দুপুরে দুই অভিযুক্ত দিবাকর সাহা এবং নবনীতা দাসকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রধান ঘটনাস্থলে অর্থাৎ ইন্দ্র নগর কবরখোলা স্থিত জয়দীপ দাসের বাড়িতে। দুই অভিযুক্ত এই মামলার আয়ু স্বপন সাহা এবং এনসিসি থানার ওসি প্রানজিত মালাকারকে পুনঃনির্মাণ করে দেখায়। পুলিশের সামনে দুই অভিযুক্ত স্পষ্ট করে কিভাবে শরিফুলকে তারা হত্যা করেছে। এই নৃশংস হত্যাকান্ড তারা পূর্ব পরিকল্পিত করে সংগঠিত করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর। জানা যায়, শরিফুল একটি যুবতীর সাথে প্রেম করতো।
মাঝে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। তারপর ঐ যুবতীর সাথে ভাই সম্পর্কের ডাক্তার দিবাকর সাহার সাথে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। অর্থাৎ ত্রিকোণ প্রেমের সুত্রপাত। ৮ জুন রাতে ডাক্তার দিবাকর গিফট দেওয়ার নাম করে শরিফুলকে নিয়ে যায় দক্ষিন ইন্দ্রনগর জয়দীপ দাসের বাড়িতে। সেখানে আগে থেকে ছিল অনিমেষ যাদব ও নবনিতা দাস। জয়দীপ দাসের বাড়িতে শ্বাসরুদ্ধ করে শরিফুলকে হত্যা করে ডাক্তার দিবাকর সাহা। ঘটনার দুইদিন পূর্বে একটি ট্রলি ক্রয় করে ঘরে নিয়ে রেখেছিল ডাক্তার দিবাকর সাহা। সেই ট্রলিতে শরিফুলের মৃতদেহ ঢুকানো হয়। তারপর জয়দীপ দাসের বাড়ির অপর একটি ঘরে ট্রলিটি রাখা হয়। ৯ জুন ডাক্তার দিবাকর সাহার বাবা দীপক সাহা ও মা দেবিকা সাহা একটি ইকো গাড়ি নিয়ে গণ্ডাছড়া থেকে জয়দীপ দাসের বাড়িতে আসে।
তারপর সেই গাড়িতে করে ট্রলি ভর্তি শরিফুলের মৃতদেহ গণ্ডাছড়ায় নিয়ে গিয়ে পান দোকানের ডিপ ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা গোটা ঘটনা স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার রাতেই অভিযুক্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গত বুধবার গণ্ডাছড়া থেকে শরিফুলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় পানের দোকানের ডিপ ফ্রিজ থেকে। এদিকে জানা যায় জয়দীপ দাসের বাড়িতে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে নিয়ে যেতেই বেশ কিছু তথ্য পুলিশের কাছে উঠে এসেছে। পুলিশ এই তথ্যগুলি আদালতে তুলবে। তাদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে পুলিশ দুই মাস্টারমাইন্ডকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। তবে এদিন তদন্তের সাথে পুলিশ মুখ খুলতে চায় নি। পুলিশ সূত্রে খবর নবনীতা এবং দিবাকর দুই অভিযুক্ত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাস্টার রুল পালন করেছে। একজন কিভাবে খুন করবে সেই পরিকল্পনা দিয়েছে এবং অপর একজন খুনের পর মৃতদেহ লোপাট করার কায়দা খুজেছে।