Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যস্বাস্থ্য শিবিরকে আদ্ধশ্রাদ্ধ করল আশা কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা

স্বাস্থ্য শিবিরকে আদ্ধশ্রাদ্ধ করল আশা কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ অক্টোবর : স্বাস্থ্য শিবিরে হরির লুট আশা কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। এমনটাই প্রত্যক্ষ করা গেল কাঞ্চনমালা এলাকায় এক স্বাস্থ্য শিবিরে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকায় হতবাক উদ্যোক্তা শ্রী শ্রী ভোলানন্দ সেবাশ্রম ট্রাস্ট মহারাজ। উল্লেখ্য, রাজধানী আগরতলা কুঞ্জবন স্থিত শ্রী শ্রী ভোলানন্দ সেবাশ্রম ট্রাস্ট মহারাজের উদ্যোগে কাঞ্চনমালা এলাকায় বিনামূল্যের স্বাস্থ্য শিবিরে এসে হতাশ হয়ে ফিরতে হলো আশ্রমের মহারাজ সহ বিশিষ্ট চিকিৎসকদের।

 জানা যায়, গত একমাস আগেই শ্রী শ্রী ভোলানন্দ সেবাশ্রম ট্রাস্ট থেকে কাঞ্চনমালা এলাকার সমস্ত আশা কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জানানো হয়েছিল যে তারা যেন এলাকার সমস্ত অংশের মানুষকে জানিয়ে দেয় ১২ অক্টোবর স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত থেকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করার জন্য। কিন্তু এলাকার স্বাস্থ্য কর্মীরা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আশ্রমের বলা কথায় পাত্তা না দিয়ে এলাকার কাউকে কিছু না জানিয়ে কাঞ্চন মালা বাজার কমিউনিটি হলে বিনামূল্যের স্বাস্থ্য শিবির করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। নির্ধারিত সূত্রে অনুযায়ী বুধবার আশ্রম কর্তৃপক্ষ এসে আশা কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা অধিক ঔষধ নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এই স্বাস্থ্য শিবিরে এলাকার মাত্র ২৫ থেকে ৩০ জন সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেছে। আশ্রমের পক্ষ থেকে আশা করা হয়েছিল এই স্বাস্থ্য শিবিরে জিবিপি হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসকদের দ্বারা বিনামূল্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে অনেক মানুষকে ঔষধ বিতরণ করা হবে। দুপুর ২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরেও এই স্বাস্থ্য শিবিরে তেমন কোন লোকজন দেখা যায়নি। আশ্রমের মহারাজ এই দৃশ্য লক্ষ্য করতে পেরে হতবাক হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ।

যদিও কাঞ্চনমালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রদীপ কর্মকার এলাকার আশা কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের এই ধরনের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ  প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে আশ্রমের মহারাজ চেয়েছিলেন যেহেতু কাঞ্চনমালা এলাকার বেশিরভাগ মানুষ গরিব এবং শ্রমজীবী অংশের যারা টাকার অভাবে ঠিকমতো ঔষধ কিনতে পারেনা তাদের জন্য অন্তত উপকারে আসবে এই স্বাস্থ্য শিবির। কিন্তু দেখা গেল এলাকার আশা কর্মী থেকে শুরু করে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা কাউকে কিছু না জানিয়েই তারা নিজেরাই নিজেদের চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত হয়েছেন। যার ফলে স্থানীয় এলাকার মানুষ এই স্বাস্থ্য শিবিরের কথা জানতেই পারল না। এদিন ঘটনার পর সৃষ্টি হয়েছে গুঞ্জন। এখন দেখার বিষয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য