স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ অক্টোবর : রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ দুটি নতুন ট্রেন পরিষেবার সূচনা করবেন। তার মধ্যে রয়েছে আগরতলা – কোলকাতা, ভায়া গৌহাটি এক্সপ্রেস ও আগরতলা – মনিপুর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। আগরতলা – মনিপুরে মধ্যে ট্রেনটি আগে ঝিরিবাম পর্যন্ত যাতায়াত করত। বর্তমানে এই ট্রেনটি নতুন করে বর্ধিত ৫৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে মণিপুরের খংসং পর্যন্ত যাবে। এই ট্রেনটি ৩০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে সময় নেবে ৬ ঘণ্টা।
রেল পরিষেবার সময় সময় উন্নতিকরণ এই ধারাবাহিক কর্মপন্থা। রেল বোর্ডের নির্দেশ ক্রমে পরিষেবার মানোন্নয়ন ও অপারেটিং ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হচ্ছে। মঙ্গলবার বাধারঘাট স্থিত আগরতলা রেল ষ্টেশনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার লামডিং-র ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার জে এস লাকরা। রেলওয়ের সঙ্গে জড়িত হয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে বিভিন্ন স্থানে প্রচার চালানো হয়েছে। ত্রিপুরায় রাবার একটা বড় শিল্প। রেলের মাধ্যমে রাজ্যের রাবার ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছানো যেতে পারে। এই বিষয়েও প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। লামডিং – বদরপুর, লামডিং- গৌহাটি, লামডিং- আগরতলার মধ্যে ইলেট্রিক লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েগেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করা হবে।
আগরতলা- আখাউড়া রেল পথের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। তা চালু হলে বিকল্প পথ আগরতলার জন্য খুলে যাবে বলে জানান নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার লামডিং-র ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার জে এস লাকরা। যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করছে রেলওয়ে মন্ত্রক। জিরানীয়ায় পণ্য সামগ্রী আনলোডিং ও মজুত করার ক্ষমতা বর্তমানের চাইতে দেড় গুন বৃদ্ধি করার কাজ খুব সহসাই শুরু করা হবে বলে জানান তিনি। আগরতলার পর ধর্মনগরে এস্কেলেটার বসানো হবে। চুরাইবারিতে পণ্যবাহী ট্রেনের প্ল্যাটফর্মের বিস্তার করা হবে। সেকেরকোর্ট ষ্টেশনে পণ্য সামগ্রী আনলোডিং-র জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগরতলা রেল ষ্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানের ষ্টেশনে উন্নিত করার জন্য কাজ চলছে। একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের রিপোর্ট জমা পড়লেই দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে জানান নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার লামডিং-র ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার জে এস লাকরা।